আরও দুই প্রতিষ্ঠান পেয়েছে সবুজ কারখানার সনদ। নতুন যোগ হওয়া কোম্পানিগুলো নিয়ে দেশে সবুজ কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৯টি। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজিএমইএ জানায়, গ্রিন কারখানার তালিকায় স্থান পাওয়া নতুন দুটি কারখানা হলো-টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে গড়াইতে অবস্থিত কমফিট, ইকো ভিলেজ। এটি ৮৫ পয়েন্ট স্কোর করে প্লাটিনাম রেটেড হিসেবে প্রত্যয়িত হয়েছে। অপরটি নারায়ণগঞ্জের কায়েমপুরে অবস্থিত ফকির নীটওয়্যার লিমিটেড। এটিও ৮৫ পয়েন্ট স্কোর করে প্লাটিনাম রেটেড হিসেবে প্রত্যায়িত হয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এক লিখিত বিবৃতিতে জানায়, বাংলাদেশের লীড গ্রিন কারখানার সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। জ্বালানি সাশ্রয়ী পরিচালনা থেকে শুরু করে পানি সংরক্ষণের মতো উদ্যোগগুলোসহ পরিবেশবান্ধব অনুশীলনগুলো গ্রহণে বাংলাদেশের কারখানাগুলো ব্যতিক্রমী নেতৃত্ব প্রদর্শন করেছে। পরিবেশগত দায়িত্বের প্রতি শিল্পের এই নিষ্ঠা শুধুমাত্র প্রশংসনীয়ই নয়-দীর্ঘমেয়াদে শিল্পের সাসটেইনেবিলিটি বাস্তবায়ন করার জন্যও অপরিহার্য। সাসটেইনেবিলিটির প্রতি আমাদের অসাধারণ প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশকে পরিবেশ সচেতন উৎপাদনের বৈশ্বিক মানচিত্রে বিশিষ্ট স্থান দিয়েছে। বাংলাদেশে এখন বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি সর্বোচ্চ রেটেড লীড গ্রিন কারখানা রয়েছে। শুধু তাই নয়, সেরা ১০টি কারখানার মধ্যে ৯টি এবং শীর্ষ ২০টি সর্বোচ্চ রেটেড লীড গ্রিন কারখানার মধ্যে ১৮টি বাংলাদেশে অবস্থিত।
তিনি আরও জানান, পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের এই অব্যাহত গতি টেকসই উৎপাদন অনুশীলনের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতিই তুলে ধরে। বাংলাদেশের পরিবেশবান্ধব কারখানা স্থাপনের উদ্যোগগুলোর প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায় লক্ষ্য রাখছে এবং ইতিমধ্যেই ক্রেতারাও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসছে। পরিবেশবান্ধব জ্বালানি অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ করছে। যা বেশ অনন্য বিষয়। এ মুহূর্তে আমাদের শিল্পটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তির ওপর গড়ে উঠেছে। পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা যে বিপুল উদ্যোগ গ্রহণ করছেন, তার সুফল নিশ্চিতভাবে আমাদের অর্থনীতি ভোগ করবে।
Views: 24
Leave a Reply