অনলাইন ডেস্ক : দুই বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর প্রেমিকা বিয়ের করতে না বলায় জিহাদী হাসান (২৬) নামের এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ জুন) চট্টগ্রামে নিজ কর্মস্থলে এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার (৪ জুন) সকালে চট্টগ্রাম থেকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার সাদিপুর গ্রামে তার পরিবারের কাছে লাশ এসে পৌঁছায়।
জিহাদী সাদিপুর গ্রামের তাহের আলীর ছেলে। তিনি চট্টগ্রামে একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্সিতে চাকরি করতেন।
জিহাদীর ছোট ভাই মেহেদী হাসান বলেন, প্রায় দুই বছর জিহাদীর সঙ্গে একটি মেয়ের সম্পর্ক ছিল। মা তাদের বাড়িতে যাতায়াতও করতেন এবং তার সঙ্গে ভাইয়ের বিয়ে দিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ওই মেয়ে যশোরে পড়াশোনা করায় তাদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হতো। ভাই চট্টগ্রাম থেকে তাকে পড়াশোনার খরচও দিতেন। সম্প্রতি জিহাদী জানতে পারে সে আরও ছেলেদের সঙ্গে প্রেম করে।
তার অভিযোগ, তার ভাই এসব জানার পর বুধবার (২ জুন) ফ্যানের সঙ্গে রশি টানিয়ে ভিডিও কলে তাকে বিয়ে করবে কি-না ওই মেয়ের কাছে জানতে চান। না হলে আত্মহত্যা করবেন বলে জানান। ওই সময় আত্মহত্যা করলেও কিছু যায় আসে না বলে জানান ওই মেয়ে। এমন কথা শোনার পর জিহাদী আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। নিজ অফিসে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
সরেজমিনে সাদিপুর গেলে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, জিহাদী অত্যন্ত সরল-সোজা ছেলে। সে ওই মেয়েকে ভালোবাসত। এতে তার পরিবারেরও কোনো আপত্তি ছিল না। আর মেয়েটি প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে অর্থও হাতিয়ে নিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই মেয়ে বলেন, ‘তার সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি জিহাদী ধূমপান করে এমন কথা শুনে অভিমান করে বিয়েতে তাকে না বলেছিলাম।
এ বিষয়ে ওই মেয়ের বাবা বলেন, ‘আমি মেয়ের সঙ্গে সাদিপুর গ্রামের জিহাদী নামে একটি ছেলের সম্পর্ক আছে জানি। তবে তাদের সঙ্গে বিয়ে দিতে আমার কোনো আপত্তি ছিল না। কেন, কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে আমি জানি না।’
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান জানান, ‘এ ব্যাপারে অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
দর্শনা নিউজ 24/এইচ জেড
Views: 7
Leave a Reply