নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পুড়ে যাওয়া গাজী টায়ার্স কারখানার ছয়তলা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ভবনের ওপরের অংশে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব না বলে জানিয়েছে বুয়েটের প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) পুড়ে যাওয়া কারখানা পরিদর্শন শেষে বুয়েটের প্রফেসর রাকিব আহসান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কারখানাটির বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেছি। তবে আমরা খালি চোখে কোনো লাশ দেখতে পাইনি। টানা তিন দিন ধরে ভবনটিতে আগুন জ্বলেছে। এ কারণে ভবনটির অনেক অংশ ধসে পড়েছে।
রাকিব আহসান বলেন, ছয়তলা বিল্ডিংয়ের চারতলা ও পাঁচতলার ছাদ ভেঙে তিনতলার বেজমেন্টে পড়েছে। আগুন ভবনের ওপরের দিকে বেশি সময় ধরে জ্বলার কারণে সেখানে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়েছে। ভবনটিতে প্রচুর কেমিকেল ছিল।
তিনি আরও বলেন, ভবনের তৃতীয় তলা ও বিভিন্ন অংশ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণে ভবনটিতে উদ্ধারকাজ চালানো খুবই বিপজ্জনক। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ভবনটির নিচতলার বেইজমেন্টে উদ্ধার অভিযান চালাবেন। ভবনটি ভেঙে ফেলা হলেও খুব পরিকল্পনামাফিক ভাঙতে হবে।
এ সময় বৃহত্তর ঢাকার ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আনোয়ারুল হক বলেন, আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা তদন্ত কমিটির সঙ্গে বসেছিলাম। আমরা ড্রোন ও লেডার দিয়ে ভবনের বিভিন্ন অংশ চেক করেছি। ভবনের বিভিন্ন কলামের রড বের হয়ে গেছে ও ফুলে গেছে। এ ভবনে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব না। তবে আমরা ভবনের নিচে বেজমেন্টে রেসকিউ অপারেশন চালাব।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত স্বজনদের দাবি অনুযায়ী ১৭৬ জন নিখোঁজের তালিকা পাওয়া গেছে। পরে শিক্ষার্থী ও পুলিশের সমন্বয়ে তালিকা হলে সেখানে নিখোঁজের সংখ্যা হয় ১২৯ জন।
Views: 1
Leave a Reply