শিশুর ব্রেন ভালো করার জন্য বাদাম খাওয়ানোর পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। বাদামে আছে ওমেগা থ্রি, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এবং ক্যালসিয়াম। সুতরাং একটি খাবার থেকেই একটি শিশু অনেক খাদ্য উপাদান পেতে পারে। তবে অনেক সময় বাদাম অ্যালার্জিটিক হতে পারে। আবার অনেক শিশুর বাদাম খেলে হজমে সমস্যা দেখা দেয়।
শিশুদেরকে কখন, কতটুকু বাদাম খাওয়ানো উচিত এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ আয়শা সিদ্দিকার পরামর্শ—
৬ মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত শিশুর খাবারে এক থেকে দেড় গ্রাম বাদামের গুঁড়া মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এভাবে খাওয়ানোর পরে যদি শিশুর শরীরে কোনো সমস্যা না হয়, তাহলে নিয়মিত খাবারের সঙ্গে বাদাম গুঁড়া মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। প্রতি সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন একবেলার খাবারের সঙ্গে শিশুকে বাদামের গুঁড়া দেওয়া যেতে পারে।
এক বছর পর থেকে শিশু যখন চিবিয়ে খেতে পারবে তখন বাদামের খোসা ছাড়িয়ে শিশুর সামনে দিলে সে একটি দুইটি করে খেতে পারবে। এভাবে এক গ্রাম, দুই গ্রাম করে দিতে দিতে দিনে পাঁচ থেকে সাত গ্রাম পর্যন্ত দেওয়া যায়।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের বাদাম পাওয়া যায়। যেকোন বাদাম খাওয়াতে পারেন। শুধু খেয়াল রাখতে হবে অ্যালার্জি দেখা দিচ্ছে কিনা, অ্যালার্জি দেখা দিলে কোন ধরনের বাদাম খেলে দেখা দিচ্ছে, সেটা বুঝুন।
শিশুদের আবহাওয়া এবং খাদ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য করতে একটু সময় লেগে যায়। বাদাম খেলে যদি অ্যালার্জি বাড়ে তাহলে বাদাম খাওয়ানো পুরোপুরি বন্ধ না করে অন্তত পনেরো দিন পর পর খাওয়াতে পারেন। এতে আস্তে আস্তে সহনীয় হয়ে যেতে পারে। দুই বছর বয়সের পরেও যদি বাদাম খাওয়ার পরপরই অ্যালার্জি দেখা দেয় তাহলে বাদাম খাওয়ানো বাদ দিতে পারেন।
সব ধরনের বাদাম একসঙ্গে গুঁড়া করে রেখেও শিশুকে খাওয়াতে পারেন। এর ফলে প্রয়োজনীয় ফ্যাট এবং মিনারেলস শিশুর খাদ্য তালিকায় যোগ হয়ে যাবে।
সুতরাং ছয় মাস বয়স থেকেই শিশুকে বাদাম খাওয়ানো শুরু করতে পারেন।
Views: 14
Leave a Reply