1. nasiralam4998@gmail.com : admi2017 :
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন

অস্ত্র প্রতি‌যো‌গিতার অর্থ জলবায়ু অভিঘাত থে‌কে রক্ষায় ব‌্যবহার করুন: প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪
  • ৩৬ বার

অস্ত্র তৈরি ও প্রতিযোগিতা না করে সেই অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মানুষদের রক্ষার জন্য ব্যয় করার আহ্বান জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (২৯ মে) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দ্বন্দ্ব, সংঘাত, যুদ্ধ, আজ বিশ্ব শান্তি বিঘ্নিত করছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ, গাজা ইসরাইলের হামলায় হাজার হাজার নিরীহ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্টীকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা ইত্যাদি মানবজাতির জন্য এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

‘আমি ঠিক জানি না, এই সংঘাত বা এই যুদ্ধ মানবজাতির জন্য কি কল্যাণ বয়ে আনছে। অস্ত্র প্রতিযোগিতা প্রতিনিয়ত যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, মানুষের জীবনও তত বেশি দুর্বিষহ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে নারী শিশু, তারা সব থেকে বেশি কষ্ট পাচ্ছে। যুবকরা অকাতরে জীবন দিচ্ছে।”

সরকারপ্রধান বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না শান্তি চাই। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সব কিছু সমাধান করতে চাই। বিশ্বের এক বিশাল সংখক মানুষ এখনও দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে। কেটি কোটি মানুষ দু-বেলা খাবার পায় না। শিশুরা শিক্ষা পায় না। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। যারা অস্ত্র তৈরি এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতায় এত অর্থ ব্যয় করছে, তাদের কাছে আমার আহ্বান, আমরা শান্তির কথা বলি কিন্তু সংঘাতে লিপ্ত হই কেন?

‘এই যে অর্থ ব্যয় হচ্ছে, এই অর্থ যদি ক্ষুধার্ত মানুষের আহারের ব্যবস্থায়, শিক্ষায় ব্যবহার করা হতো, চিকিৎসায় ব্যবহার করা হতো তাহলে মানুষের জীবনমান আরও উন্নত হতো, মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচতে পারতো। কিন্তু এই সংঘাত মানুষকে আরও কষ্টের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।”

শেখ হাসিনা বলেন, সংঘাত না, যদি কোনো সমস্যা থাকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা, সেটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কাজ। অস্ত্র তৈরি আর প্রতিযোগিতা এই অর্থটা যে সমস্ত দেশ এখনও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছে, সেই জলবায়ু অভিঘাত থেকে মানবজাতিকে রক্ষার জন্য সেই ফান্ডে সেই অর্থ দিতে পারে এবং ক্ষুধার্ত এবং শিক্ষা বঞ্চিতদের মধ্যে ক্ষুধা নিবৃত্বের জন্য ব্যবহার করতে পারে। সেই আহ্বানটি সকলকে জানিয়ে যাচ্ছি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুসরণ করে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যে সমস্ত দেশে আমাদের শান্তিরক্ষি বাহিনী কাজ করছে, তাদের রাষ্ট্রপ্রধান সরকারপ্রধান বা মন্ত্রীদের সাথে দেখা হয় প্রত্যেকেই আমাদের শান্তিরক্ষিদের ভূয়সী প্রসংস্যা করে। আর এই প্রসংশা শুনে আমার গর্ভে বুক ভরে যায়।

‘জাতির পিতার আদর্শ অনুসরণ করে আমরা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছি। শান্তি রক্ষা মিশন ছাড়াও আমরা অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরাম গুলোতে অবদান রেখে যাচ্ছি।”

প্রতিনিয়ত নারী শান্তিরক্ষিদের চাহিদা বাড়ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে বৃহৎ নারী শান্তিরক্ষি প্রেরণকারী দেশ হিসেবেও পরিচিতি লাভ করছে। এ পর‌্যন্ত বাংলাদেশে সর্বমোট ৩ হাজার ৮০০ নারী শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অত্যন্ত সফলতার সাথে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন সম্পন্ন করেছে।

‘এখন সব থেকে বেশি দাবি আসছে, নারী শান্তিরক্ষী প্রেরণ করবার জন্য এবং জাতিসংঘের মহাসচিব নিজেই এটা বলেছেন। যে আমরা যেন আরও বেশি নারী শান্তিরক্ষী পাঠাই।”

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..