অন্য গরু বা মানুষ দেখলেই ডিগবাজি দিতে চায়। এমন স্বভাবের কারণেই গরুর নাম রাখা হয়েছে ‘জায়েদ খান’। জানালেন গরুর মালিক আক্তার হোসেন। আসছে কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য গরুটি লালন-পালন করছেন তিনি।
আক্তার হোসেন বলেন, ‘এখন গরুর ওজন প্রায় ৩০ মণ। ইচ্ছে আছে গাবতলীর হাটে নিয়ে বিক্রি করব।’
প্রতিদিন দেড় হাজার টাকার খাবার খাওয়া মস্ত বড় ষাঁড় গরুটি দেখতে আক্তার হোসেনের বাড়িতে অনেকেই ভিড় করছেন। বিশেষ করে গরুর নাম মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই গরুটির প্রতি কৌতূহল প্রকাশ করছেন।
আক্তার হোসেনের বাড়ি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউলতিয়া।
আক্তার হোসেন বলেন, আমার এই গরুটিই মনে হয় গাজীপুরের সবচেয়ে বড়। ওজনের তুলনায় বেশি লাফালাফি করে। মানুষ দেখলেই ডিগবাজি মারতে চায়। এ জন্য আমার ছেলে নাম রেখেছে ‘জায়েদ খান’৷
নামটি ছড়িয়ে পড়ায় দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়েছে বলেও জানান তিনি। দেখার পর ‘সঠিক নাম রাখা হয়েছে’ বলেও মন্তব্য করছেন অনেক দর্শনার্থী।
আক্তার হোসেনের বড় ছেলে সিহাব বলেন, ভিডিওতে দেখেছি জায়েদ খান ডিগবাজি দেয়, লাফ দেয়। এই গরুটাও লাফ দেয়। ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি আমাদের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে আমরা পালছি। ছোট ভাই, আমি, মা-বাবা সবাই গরুর যত্ন নেই।
গরুর প্রতি মায়া পড়ে গেছে। বিক্রির পর কিছুদিন খারাপ লাগবে বলেও জানান তিনি।
Views: 7
Leave a Reply