1. nasiralam4998@gmail.com : admi2017 :
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন

শেষ ওভারে রোহিত-হার্দিকদের হারিয়ে গুজরাটের দারুণ শুরু

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০২৪
  • ৭০ বার

এই মৌসুমে গুজরাট টাইটান্স ছেড়ে শেষ মুহূর্তে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে যোগ দিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। তাদের বিপক্ষেই আইপিএলের এবারের আসরে গুজরাটের প্রথম ম্যাচ ছিল। শক্তিশালী মুম্বাইকে তারা হারিয়ে দিবে সেটা হয়তো অনেকেই ভাবেনি। কিন্তু আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে উপস্থিত ৮০ হাজার দর্শককে হতাশ করেননি শুভমান গিল ও সাই সুদর্শনরা। শেষ ওভারের থ্রিলারে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়েছেন ৬ রানে।

এদিন গুজরাট আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৬৮ রান করে। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রানে থামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

জেতার জন্য শেষ ওভারে মুম্বাইর প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। ক্রিজে ছিলেন হিটম্যান হার্দিক পান্ডিয়া ও শামস মুলানি। উমেশ যাদবের করা শেষ ওভারের প্রথম বলেই এক্সট্রা কাভার দিয়ে ছক্কা হাঁকান হার্দিক। পরের বলে কাভার ও ডিপ পয়েন্টের গ্যাপ দিয়ে চার। চার বলে প্রয়োজন ৯ রান। সহজ সমীকরণ।

কিন্তু উমেশের পরের বলেই আউট হয়ে যান হার্দিক। চতুর্থ বলে উমেশ তুলে নেন নতুন ব্যাটসম্যান পিযূষ চাওলাকেও। তাতে শেষ ২ বলে প্রয়োজন ৯ রান। জাসপ্রিত বুমরাহ ও মুলানি মিলে ২ রানের বেশি নিতে পারেননি। তাতে ৬ রানের দারুণ জয়ে আইপিএলের নতুন মৌসুম শুরু হয় গুজরাটের।

অবশ্য রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল মুম্বাই। ইনিংসের চতুর্থ বলেই ইশান কিষাণের (০) উইকেট হারায় তারা। দলীয় সংগ্রহে তখনও কোনো রান যোগ হয়নি। এরপর রোহিত শর্মা, নামান ধীর, ডিওয়াল্ড ব্রেভিস ও তিলক ভার্মার ব্যাটে ম্যাচে ফেরে মুম্বাই। নামান ৩ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২০ রান। রোহিত ৭ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৪৩ রান। ব্রেভিস ২ চার ও ৩ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন। আর তিলক ভার্মা করেন ১ চার ও ১ ছক্কায় ২৫ রান।

দলীয় ১৪৮ রানের মাথায় যখন তিলক আউট হন তখনও মুম্বাইর জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২১ রান। হাতে ছিল ১০ বল। জেরাল্ট কোয়েৎজে কিংবা হার্দিক পান্ডিয়া কেউ একজন দাঁড়িয়ে গেলে ম্যাচটা বেরিয়ে যেত। কিন্তু সেটা আর হয়নি। তাতে জয়ও পাওয়া হয়নি পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের।

বল হাতে গুজরাটের আজমতউল্লাহ ওমরজাই, উমেশ যাদব, স্পেন্সার জনসন ও মোহিত শর্মা প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন। ১টি উইকেট নেন সাই কিশোরী।

তার আগে গুজরাটের ইনিংসে সুদর্শন ৩ চার ও ১ ছক্কায় খেলেছিলেন সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংস। অধিনায়ক গিলের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। ৩ চার ও ১ ছক্কায় এই রান করেন তিনি। এছাড়া রাহুল তেওয়াটিয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় ২২, ঋদ্ধিমান সাহা ৪ চারে ১৯ ও আজমতউল্লাহ ১ চার ও ১ ছক্কায় করেন ১৭ রান।

বল হাতে মুম্বাই সেরা বোলার ছিলেন বুমরাহ। তিনি ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৪ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। কোয়েৎজে ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। ম্যাচসেরা হন সাই সুদর্শন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..