ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের ১২৮টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। কিন্তু ভোটারদের অভিযোগ, ইভিএম-এর কারণে ভোটগ্রহণে ধীরগতি ও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অধিকাংশ কেন্দ্রে রোদের মধ্যে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভোটপ্রদানের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
সকাল সাড়ে ৯টায় ভোট দিতে কেন্দ্রে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন কুলসুম বেগম। দুপুর ১টায় ভোট দিয়ে বেরিয়েছেন তিনি।
আরেক ভোটার রিমন আক্তার এসেছিলেন বেলা ১১টার দিকে, এই রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত ভোট দিতে পারেননি তিনি।
সুফিয়া নামে আরেক নারী ভোটার দীর্ঘ তিন ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে পারেননি।
শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর গোহাইলকান্দি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় কুলসুম, রিমন আক্তার ও সুফিয়ার সঙ্গে। ক্ষোভ প্রকাশ করে সুফিয়া বলেন, ‘রোদের মধ্যে তিন ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে যখন ভোট দিতে ভেতরে ঢুকলাম তখন তারা বলছেন আমার আঙুলের ছাপ নাকি মিলছে না। পরে বলল, বিকেল ৩টার পরে আসার জন্য, তখন ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেবে। আগে জানলে ভোট দিতে আসতাম না, অযথা কষ্ট করলাম!’
এ দিকে কুলসুম ও রিমন আখতারের কণ্ঠেও বিরক্তি প্রকাশ পেয়েছে। তারা বলেন, ৩ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে ভোট দিতে পারিনি, লাইন এগুচ্ছে না।
শুধু কুলসুম বা রিমন আক্তারই নন, লাইনে দাঁড়ানো অনেক নারী-পুরুষ ভোটার একই অভিযোগ করেছেন। তারা বলছেন, ভোটগ্রহণ করতে অনেক সময় লাগছে, ফলে তাদের কষ্ট সহ্য করে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।
উল্লেখিত কেন্দ্রে কিছুক্ষণ আগে ভোট দিয়ে এসেছেন খলিল মিয়া। তিনিও দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন।
গোহাইলকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের নারী ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আবুল কালাম বলেন, ইভিএম-এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণে কিছুটা জটিলতা দেখা দিয়েছে। ভোটাররা বুঝতে না পারার কারণে ভোট দিতে দেরি হচ্ছে। অনেকের আঙুলের ছাপ ম্যাচ করছে না। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ৩টার পর আসার জন্য বলা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত ভোট গ্রহণের।
Views: 13
Leave a Reply