নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। রোববার এ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান রাজশাহীর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. আবু সাঈদের আদালতে হাজির হয়ে তিনি অভিযোগের বিষয়ে জবাব দেন।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় আদালতে আসেন মাহিয়া মাহি। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত শুনানি চলে। শুনানিতে আদালত মাহির বক্তব্যে সন্তোষ প্রকাশ করে তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন। তবে তাকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়।
আদালতের পেশকার মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, আদালতে মাহিয়া মাহি তার ভুল স্বীকার করে বিষয়টি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন। আদালত তার জবাবে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে আদালত তাকে সতর্ক করেছেন যেন ভবিষ্যতে তিনি আচরণবিধি মেনে চলেন।
কারণ দর্শানোর নোটিশের শুনানি শেষে মাহিয়া মাহি আদালতের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগেই আমি ভোটারদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছি। দোয়া চেয়েছি। এটাও একটা আচরণবিধির মধ্যে পড়ে। আমি তার জন্য আদালতকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করেছি। তারা আমাকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছেন যে, পরবর্তীতে যাতে এ রকম না হয়। আমি এটা মেনে চলব।
মাহি বলেন, উনারা (নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি) আসলে সবার জন্যই সমান। এই আসনের বর্তমান যিনি এমপি, তাকেও শোকজ করা হয়েছিল। উনারা আসলে সবার জন্য সমান।
কোন প্রতীকে নির্বাচনে লড়বেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মাহি বলেন, পছন্দের প্রতীক এখনও বলতে চাই না। আগামীকাল প্রতীক বরাদ্দ হবে। কালই ঠিক হবে আমি কোন প্রতীকটা পাচ্ছি। এরপরেই প্রচারণা। প্রচারণা তো সেই রকমভাবেই করতে হবে। বড় দুটো উপজেলা। মাঠপর্যায়ে আমার অবস্থান খুব ভালো। আপনারা খোঁজ নিলেই জানতে পারবেন। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
ভোটের মাঠে কোনো বাধা পাচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে ঢাকাই সিনেমার এই নায়িকা বলেন, এখন পর্যন্ত আমাকে কোনো ধরনের হুমকি দেওয়া হয়নি। সরে যাওয়ার কথাও বলা হয়নি। নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে, বিষয়টা আসলে তখন বোঝা যাবে। সরাসরি এখনো কোনো হুমকি আসেনি। প্রচারণার মাঠে গিয়ে আসলে কতটুকু প্রবলেম ফেস করি সেটা আপনাদের সবাইকে (সাংবাদিকদের) জানাব এবং সহযোগিতা চাইব। যদি দেখি যে আমার কর্মীরা রিস্ক ফিল করছে, তাহলে অবশ্যই আপনারা সাপোর্ট করবেন এবং সেটা দেশবাসীকে জানাবেন।
শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে মাহি বলেন, নির্বাচনের মাঠ ছেড়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত যদি বেঁচে থাকি, শেষ পর্যন্ত লড়ব।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার গোদাগাড়ীর চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নে গিয়ে গণসংযোগ করেন মাহি। বিষয়টি নজরে এলে শুক্রবার মাহিয়া মাহিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। অভিযোগের বিষয়ে জবাব দিতে তাকে সশরীরে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী আদালতে গিয়ে জবাব দিলেন তিনি।
Views: 7
Leave a Reply