সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১৭৫/৮ (২৬ ওভার)
নিউ জিল্যান্ড ২৩৯/৭ (৩০ ওভার)
তাওহীদের পর আফিফের বিদায়, হারের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ
তাওহীদের বিদায়ের পর ফিরে গেলেন আফিফও। জ্যাকব ডাফির শর্ট ডেলিভারি পুল করতে গিয়ে শর্ট মিডে ধরা পড়েন আফিফ, তাতে শেষ হয় তার ২৮ বলে ৩৮ রানের ইনিংস।
তাওহীদের বিদায়ে ভাঙল জুটি
মুশফিকের বিদায়ের পর পঞ্চাশ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন তাওহীদ হৃদয় ও আফিফ হোসেন। এই জুটি ভেঙে দলকে স্বস্তি এনে দেন ইশ সোধী। লেগ স্পিনারকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় সীমানায় ধরা পড়লেন তাওহীদ। ভাঙে আফিফের সঙ্গে ৩৮ বল স্থায়ী ৫৬ রানের জুটি।২৭ বলে এক ছক্কা ও দুই চারে ৩৩ রান করেন হৃদয়।
২৩ ওভারে বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১৬১। ক্রিজে আফিফ হোসেনের সঙ্গী মেহেদী হাসান মিরাজ।
আফিফ-তাওহীদের জুটিতে পঞ্চাশ
ক্রিজে গিয়েই ঝড় তুলেছেন আফিফ হোসেন। তাকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছেন তাওহিদ হৃদয়। দুই তরুণে জুটিতে এসেছে পঞ্চাশ রান, তাতে বাংলাদেশ পেরিয়েছে দেড়শ রানের ঘর।
২২ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ১৫৭। ২১ বলে ৩৪ রানে খেলছেন আফিফ। ২৬ বলে হৃদয়ের রান ৩৩। জয়ের জন্য শেষ ৮ ওভারে ৮৮ রান চাই সফরকারীদের।
অহেতুক রিভার্স সুইপে আউট মুশফিক
দলের বিপদের সময় হাল ধরতে পারলেন না মুশফিকুর রহিম। নাজমুল হোসেন শান্তর মতো রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। রাচিন রবীন্দ্রর গুড লেংথের ডেলিভারিতে রিভার্স সুইপ খেলতে গেলে বল তার ব্যাটের কানা ছুঁয়ে প্যাডে লেগে উঠে যায় সহজ ক্যাচ। বাকিটা অনায়াসে সারেন টম ব্লান্ডেল। ১০ বলে মুশফিক করেন ৪. রান।
২১ ওভারে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ১৪৬। ক্রিজে তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গী আফিফ হোসেন।
অদ্ভুতুরে শটে লিটন আউট
পেসার ক্লার্কসনের স্লোয়ার বাউন্সার। উইকেটের ওপরের ডেলিভারী চাইলে যে কোনো শট খেলা যায়। অথচ লিটন বল বুঝতে না পেরে অদ্ভুতুরে শট খেললেন। খেললেন…আবার খেললেন না। বল তার গ্লাভস ছুঁয়ে যায় উইকেটের পেছনে কিপারের হাতে। ১৯ বলে ২২ রান করে লিটন ফিরলেন ড্রেসিংরুমে। বাংলাদেশ হারাল চতুর্থ উইকেট।
আশা দেখিয়ে হাল ছেড়ে দিলেন এনামুল
একাদশে সুযোগ পেয়ে এনামুল হক বিজয় ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো করেছিলেন। দৃষ্টিনন্দন কয়েকটি শটে ভালো কিছুর আশা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু আশা দেখিয়ে হাল ছেড়ে দিলেন অল্পতেই। অভিষিক্ত পেসার ক্লার্কসনের বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে ফিরতি ক্যাচ দেন। শট খেলার সময় শরীরে কোনো ভারসাম্য ছিল না। আলগা শটে বিলিয়ে আসেন উইকেট। ৩৯ বলে এনামুল ৪৩ রান করেন ৫ বাউন্ডারিতে। বাংলাদেশ হারাল তৃতীয় উইকেট।
রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড শান্ত
ইশ শোধির বল রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বল মিস করে বোল্ড হলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। মুখোমুখি প্রথম বলেই রিভার্স সুইপ করতে গিয়েছিলেন শান্ত। তাতেই নিজের বিপদ ডেকে আনেন। ১৩ বলে ১৫ রান করে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান লিটন দাস।
ক্যাচ দিয়ে বাঁচলেন এনামুল
পেসার ডাফির বল তুলে মারতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ তুলেছিলেন এনামুল হক বিজয়। উইকেট কিপার টম ব্লান্ডেল নিজের জায়গা থেকে ডিপ স্কয়ার লেগের কাছে গিয়ে বল ধরতে চেয়েছিলেন। ঠিকঠাক পৌঁছে বলের নিচে গ্লাভসও দিয়েছিলেন। কিন্তু বল মুঠোয় জমাতে পারেননি। ৮ রানে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান এনামুল।
শূন্য রানে সৌম্য আউট
স্লিপে টম লাথামকে ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়ে নিজের উইকেট উপহার দিয়ে এলেন সৌম্য সরকার। জাতীয় দলে তাকে ফেরানোর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রবল সমালোচনার পরও তাকে সুযোগ দিয়ে যাচ্ছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু সৌম্য আরেকবার ব্যর্থ হয়ে সকল সমালোচনা বাড়িয়ে দিলেন। ২৪৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ প্রথম ওভারেই হারাল উইকেট। অ্যাডাম মিলনের বলে খোঁচা দিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে লাথামের হাতে ক্যাচ দেন শূন্য করা সৌম্য। বোলিংটাও ভালো হয়নি তার। ৬ ওভারে দিয়েছেন ৬৩ রান। সঙ্গে ফিল্ডিং মিস করেছেন লাথামের ক্যাচ।
৩০ ওভারে বাংলাদেশের টার্গেট ২৪৫ রান
নিউ জিল্যান্ড আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৩০ ওভারে ২৩৯ রান করে ৭ উইকেট হারিয়ে। ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে বাংলাদেশ ২৪৫ রানের টার্গেট পেয়েছে। ৩০ ওভারে এ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।
ইয়ংয়ের সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় নিউ জিল্যান্ডের
বোলারদের ছন্নছাড়া বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে চার-ছক্কায় রান তুলেছেন নিউ জিল্যান্ডের ওপেনার উইল ইয়ং। তাতে চোখের পলকে ইয়ং পৌঁছে গেছেন সেঞ্চুরিতে। যা তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। ইয়ংয়ের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড়ে স্বাগতিকরা।
বৃষ্টির পর আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দ্রুত রান তোলেন ডানহাতি ওপেনার। ৮৪ বলে ১৪ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৫ রান করেন ইয়ং। শেষ দিকে একাধিক রান আউটে নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন। কিন্তু তাতেও তাদের বড় রান পেতে সমস্যা হয়নি।
মিরাজের বলে বোল্ড লাথাম
১৮ রানে টম লাথাম জীবন পেয়েছিলেন সৌম্য সরকারের হাতে। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সময় যত গড়িয়েছে লাথাম আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। পরিস্থিতি অনুযায়ী দারুণ ব্যাটিং করে নিউ জিল্যান্ডের রান নিয়ে গেছেন চূড়ায়। সেঞ্চুরির পথে থাকা এই ব্যাটসম্যানকে ৯২ রানে থামান মিরাজ। তার বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে টাইমিং মিস করেন। বল তার ব্যাটে, পায়ে আঘাত করে যায় স্টাম্পে। ৭৭ বলে ৯ চার ও ৩ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংসটি সাজান লাথাম।
বড় রানের খোঁজে আক্রমণে নিউ জিল্যান্ড, বোলার সংকটে বাংলাদেশ
ম্যাচ ৩০ ওভারে নেমে আসায় বড্ড বিপদে বাংলাদেশ। রীতিমত বোলার সংকটে ভুগতে হবে। প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, একজন বোলার সর্বোচ্চ ৬ ওভার বোলিং করতে পারবেন। শরিফুল ও মোস্তাফিজের বাকি ১ ওভার করে। হাসানের ৬ ওভার শেষ। সৌম্য ও মিরাজের ওভার বাকি আছে। তাদের দিয়েই বোলিং শেষ করতে হবে। এদিকে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। বড় পুঁজি পেতে আক্রমণ চালাচ্ছেন ইয়াং ও লাথাম। প্রতি ওভারেই একাধিক বাউন্ডারি পাচ্ছেন স্বাগতিকরা। তাতে রানের চাকা ঘুরছে এক্সপ্রেস গতিতে।
ম্যাচ ৩০ ওভার করে, নিউ জিল্যান্ড ব্যাটিং করবে ১০.৪ ওভার
১৯.২ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের রান ২ উইকেটে ১০৮। তারা আরো ১০.৪ ওভার ব্যাটিং করবে। বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ এখন ৩০ ওভার করে। বাংলাদেশ সময় ৯টা ১৫ মিনিটে আবার মাঠে নেমেছেন ক্রিকেটাররা। প্লেয়িং কন্ডিশন আবার পরিবর্তন হয়েছে। একজন বোলার সর্বোচ্চ ৬ ওভার বোলিং করতে পারবেন। বাংলাদেশের জন্য যেটি খুব একটা স্বস্তির নয়।
ফের বৃষ্টি খেলা বন্ধ
ম্যাচে তৃতীয় দফায় বৃষ্টি হানা দিল। আরো একবার খেলা বন্ধ হলো। ৩৩ বল খেলা হওয়ার পর বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ আপাতত বন্ধ। প্রথম দফায় ম্যাচ নেমে আসে ৪৬ ওভারে। এরপর ৪০ ওভারে। ম্যাচের দৈর্ঘ আবারও কমবে ধরে নেওয়াই যায়। কত ওভার কমে সেটাই দেখার।
লাথামের ফিফটি, ৪০০০ রান
ওয়ানডে ক্রিকেটে ৪০০০ রান পেয়েছেন টম লাথাম। দল যখন বিপর্যয়ে তখন মাঠে নেমে পরিস্থিতি সামলে নেন। থিতু হতে সময় নিয়েছিলেন। এরপর খোলস ছেড়ে বেরিয়ে দারুণ সব শট খেলে পৌঁছে যান ফিফটিতে। ফিফটির আগেই লাথাম পূরণ করেন ওয়ানডে ক্রিকেটে ৪০০০ রান। ১২তম নিউ জিল্যান্ডের খেলোয়াড় হিসেবে ওয়ানডেতে ৪ হাজার রান পূর্ণ করলেন লাথাম। কিউই অধিনায়ককে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন ইয়ং। দুজনের জুটি রান একশ পেরিয়েছে।
ইয়ং-লাথামের ব্যাটে নিউ জিল্যান্ডের লড়াই
বৃষ্টির বাধার পর মাঠে নেমে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তুলছেন নিউ জিল্যান্ডের টম লাথাম ও উইল ইয়ং। মোস্তাফিজের বল মাথার ওপর দিয়ে দুটি চার মেরেছেন ইয়ং। মিরাজকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা উড়িয়েছেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। লাথাম সৌম্যর বলে অন ড্রাইভে পেয়েছেন চার। মিরাজকে সুইপ করেও বল পাঠিয়েছেন বাউন্ডারিতে। তাদের ব্যাটে শতরান পেরিয়ে নিউ জিল্যান্ড।
আরো ৪ ওভার কমে গেল
বৃষ্টির দাপটে খেলা এখন নেমে এলো ৪০ ওভারে। বাংলাদেশ সময় ৭টা ১০ মিনিটে পুনরায় ম্যাচ শুরু হবে। প্লেয়িং কন্ডিশনেও এসেছে পরিবর্তন। ১-৮ পাওয়ার প্লে। দ্বিতীয় পাওয়ার প্লে ৯-৩২। তৃতীয় পাওয়ার প্লে ৩২-৪০। বোলাররা সর্বোচ্চ ৮ ওভার বোলিং করতে পারবেন।
আবার বৃষ্টির বাধায় খেলা বন্ধ
মাঠে নামার আগে এক দফায় বৃষ্টিতে ৭০ মিনিট নষ্ট হয়েছিল। তাতে ম্যাচ নেমে আসে ৪৩ ওভারে। ১৩.৫ ওভার খেলা হওয়ার পর আবার বৃষ্টির দাপট। ইউনিভার্সিটি ওভাল মাঠ আবার কভার দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে যত সময় নষ্ট হবে তত ম্যাচের রোমাঞ্চ নষ্ট হবে। ওভার কমে যাবে। তাতে দুই দলের লড়াই যেমনটা জমে ওঠার কথা ততটা হবে না।
লাথামকে জীবন দিলেন সৌম্য, বোলিংয়ে উজ্জ্বল বাংলাদেশ
মোস্তাফিজুর রহমানের বলে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেলেন নিউ জিল্যান্ডের অধিনায়ক টম লাথাম। সৌম্য সরকার রেগুলেশন ক্যাচ মিস করে লাথামকে জীবন দিলেন ১৮ রানে।
বোলিং ইনিংসের শুরু থেকে দুই স্লিপ নিয়ে ফিল্ডিং সাজিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দশম ওভার থেকে একজন স্লিপ ফিল্ডার কমিয়ে দেন অধিনায়ক। তাতে একমাত্র স্লিপ ফিল্ডার সৌম্যকে একটু সরে দাঁড়াতে হয়েছিল। মোস্তাফিজের বল কাট করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন লাথাম। শরীরের থেকে বলের খানিকটা দূরত্ব থাকলে ক্যাচ ছিল একেবারেই সহজ। কিন্তু দলে ফেরা সৌম্য বল হাতে জমাতে পারেননি।
নিউ জিল্যান্ডকে চাপে রেখেছে বাংলাদেশ
বৃষ্টিতে ম্যাচ নেমে এসেছে ৪৬ ওভারে। ফলে প্রথম পাওয়ার প্লে’ ঠিক করা হয়েছে ৯ ওভারে। টস জিতে বোলিং নেওয়া বাংলাদেশ পাওয়ার প্লে’তে দুর্দান্ত করেছে। পেসার শরিফুল ইসলাম ইনিংসের প্রথম ওভারে পেয়েছেন জোড়া সাফল্য। এরপর কিউই ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে রাখেন বাঁহাতি পেসার। তার সঙ্গে যোগ দিয়ে হাসান মাহমুদও ভালো বোলিং করেছেন। মোস্তাফিজুর রহমান পাওয়ার প্লে’তে এক ওভার হাত ঘুুরিয়েছেন।
প্রথম ওভারে শরিফুলের জোড়া আঘাত
চার হজম করে বোলিং শুরু হয়েছিল শরিফুল ইসলামের। তার ওভারপিচ বল দারুণ ফ্লিকে চার হাঁকান ইয়ং। নিজেকে ফিরে পেতে সময় নেননি বাঁহাতি পেসার। চতুর্থ বলে পেয়ে গেলেন সাফল্য।
প্রান্ত বদল করায় রাচীন রাবিন্দ্র গিয়েছিলেন ব্যাটিং প্রান্তে। দারুণ এক সুইং ডেলিভারীতে রাচীনকে উইকেটের পেছনে তালুবন্দি করান শরিফুল। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের জন্য আদর্শ এক লেন্থে বল ফেলে উইকেট আদায় করেন। এক বল পর আরেকটি উইকেট জমা হয় তার পকেটে। প্রায় একই রকম ডেলিভারীতে ব্যাট সরাতে পারেননি হেনরি নিকোলস। একটু লাফিয়ে ওঠা বলে দ্বিতীয় স্লিপে এনামুলের হাতে ক্যাচ দেন নিকোলস।
প্রথম ওভারে জোড়া সাফল্যে ম্যাচে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
বৃষ্টিতে ম্যাচ নেমে এলো ৪৬ ওভারে
বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা ১০ মিনিটে খেলা শুরু হবে। বৃষ্টি থামার পর গ্রাউন্ডসম্যানরা ৫০ মিনিট সময় নিয়েছেন মাঠ খেলার উপযোগী করতে। সময় নষ্ট হওয়ায় ইনিংসে ৪ ওভার করে কমানো হয়েছে। ফলে ম্যাচটি হবে ৪৬ ওভারে।
খেলা শুরু হতে দেরি
বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ থাকার পর এখন দেরি হচ্ছে মাঠ ভেজা থাকায়। ক্রিস ব্রাউন ও রড টাকার দুই অন ফিল্ড আম্পায়ার মাঠ পর্যবেক্ষণ করছেন।
৩০ মিনিট বৃষ্টির পেটে!
টসের পর খেলোয়াড়রা মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ইউনিভার্সিটি ওভাল মাঠে হুট করেই বৃষ্টির আগমণ। বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। দিনভরও রয়েছে। খেলা শুরুর আগে বৃষ্টি কেড়ে নিল ত্রিশ মিনিট। ভালো খবর বৃষ্টি থেমেছে। গ্রাউন্ডসম্যানরা ৩০ মিনিট সময় নিয়েছেন মাঠ প্রস্তুতের। ফলে বাংলাদেশ সময় সাড়ে ৪টায় শুরু হবে দুই দলের প্রথম ওয়ানডে।
একাদশে পরিবর্তনের হিড়িক
বিশ্বকাপের ভরাডুবির পর প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। পুনেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। সেই একাদশ থেকে আজকের দলে এসেছে একাধিক পরিবর্তন।
তানজিদ হাসান তামিম বাদ পড়েছেন। তার জায়গায় এসেছেন এনামুল হক বিজয়। দলে ফেরা আফিফ হোসেনকেও একাদশে রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। সঙ্গে সৌম্য সরকারকেও রাখা হয়েছে। নাসুম আহমেদ, মাহেদী হাসান ও তাসকিন আহমেদ এই সফরে নেই। দলে আছেন হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম।
বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ
যথাসময়ে টস হলেও ম্যাচের ঠিক আগ মুহূর্তে বৃষ্টির বাগড়া। খুব জোরে বৃষ্টি ঝরছে তেমনটা নয়। প্রচন্ড বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি থাকায় খেলা শুরু করা যাচ্ছে না। মাঠ কভার করা।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে আগে ফিল্ডিং করবে বাংলাদেশ। ডানেডিনে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা ছিল।
টস
টস জিতে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, এনামুল হক বিজয়, তাওহীদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম।
নিউ জিল্যান্ড একাদশ: উইল ইয়ং, রাচীন রাবিন্দ্র, হেনরি নিকোলস, টম লাথাম (অধিানয়ক), টম ব্লান্ডেল, মার্ক চ্যাম্পম্যান, জস ক্লার্কসন, অ্যাডাম মিলনে, ইশ শোধী, জ্যাকব ডাফি, উইল ও’রউকে।
অধরা সাফল্যের খোঁজে
২০০১ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ মোট ৯ বার তাসমান পাড়ের দেশটিতে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলতে সফর করেছে। যেখানে অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও ইংল্যান্ডে মাত্র দুইবার করে সফর করেছে বাংলাদেশ। শান্তিপূর্ণ ও নয়নাভিরাম দেশ নিউ জিল্যান্ডে যতবার বাংলাদেশের সফর ততবার জমা হয় মন খারাপের গল্প। ব্যর্থতার মিছিলে যোগ হয় নতুন নতুন দুঃস্মৃতি।
নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে এখন পর্যন্ত ষোলো ওয়ানডে খেলে একটিও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি হয়েছে নয়টি। জয় সেখানেও অধরা।
২০০৭ সালে রঙিন পোশাকে যে মিশন শুরু হয়েছিল ২০২৩-এ এসেও অজেয়। রঙিন পোশাকে কিউই দূর্গ ভাঙতে পারছে না বাংলাদেশ। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ২০২২ সালের আগে কোনো সাফল্য ছিল না। সেবার টেস্ট জিতেছিল মাউন্ট মঙ্গানুইতে। এবারের সফরে কোনো টেস্ট নেই। আছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। রঙিন পোশাকে ছয় ম্যাচে একটি জয় পেলেও সাফল্যের পাতায় নতুন অধ্যায় শুরু হবে। অধরা সেই সাফল্যের খোঁজে বাংলাদেশ
Views: 9
Leave a Reply