সংক্ষিপ্ত স্কোর
::প্রথম ইনিংস::
বাংলাদেশ: ৩১০/১০ ও নিউ জিল্যান্ড: ৩১৭/১০।
::দ্বিতীয় ইনিংস::
বাংলাদেশ: ২১২/৩ (৬৮ ওভার)
লিড: ২০৫ রান
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অধিনায়কত্বের অভিষেক ম্যাচে সেঞ্চুরি করার অনন্য নজির স্থাপন করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি ১৯৩ বল খেলে ১০ চারে অপরাজিত আছেন ১০৪ রানে। তার সঙ্গে ৭১ বলে ৫ চারে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর রহিম। তাদের দুজনের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ তৃতীয় দিনটি রাঙিয়েছে। ৩ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান তুলে শেষ করেছে দিন। লিড নিয়েছে ২০৫ রানের। আগামীকাল চতুর্থ দিনে শান্ত ও মুশফিক ব্যাট করতে নামবেন।
সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে শান্ত, বাংলাদেশ দুইশ’র:
১১৬ রানের মাথায় মুমিনুল হক দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউট হওয়ার পর জুটি বাঁধেন মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এই জুটি ইতোমধ্যে ৮১ রান যোগ করেছে দলীয় সংগ্রহে। তাতে বাংলাদেশ আছে দুইশ’র দ্বারপ্রান্তে। আর শান্ত আছেন সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে। তিনি ৯৬ রানে ও মুশফিক ৩৬ রানে ব্যাট করছেন।
শান্তর ফিফটির পর রান আউট মুমিনুল
শান্তর ফিফটির পর আরেকটি ফিফটি পেতে যাচ্ছিলো বাংলাদেশ। তবে অযথা আত্মহুতি দিলেন মুমিনুল হক। অযথাই রান নিতে গিয়ে শেষ হয় তার ইনিংস আউট হওয়ার আগে ৪ চারের মারে ৬৮ বলে ৪০ রান করেন মুমিনুল।
এজাজ প্যাটেলের হালকা ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে অন ড্রাইভ করলেন মুমিনুল হক। বল গেল সোজা মিড অনে থাকা হেনরি নিকোলসের হাতে। তার আগেই রানের জন্য ছুটে পিচের মাঝামাঝি চলে যান এই ব্যাটার।
অন্য প্রান্তে নাজমুল হোসেন শান্ত তখন নিজের ক্রিজে দাঁড়িয়ে। সোজা ফিল্ডার বরাবর যাওয়া বলে রান নেওয়ার সুযোগও ছিল না। বিপদ বুঝতে পেরে মুমিনুল নিজের ক্রিজে ফেরার চেষ্টা করলেও সফল হননি। নিকোলসের থ্রো ধরে স্টাম্প ভেঙে দেন টম ব্লান্ডেল।
শান্তর ফিফটি
টেস্ট অধিনায়কত্বের প্রথম ম্যাচেই পঞ্চাশের দেখা পেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৯৫ বলে এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন বাঁহাতি টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান। ৫ চারের মারে এই মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
বাংলাদেশের পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে নেতৃত্বের প্রথম ম্যাচে ফিফটি করলেন শান্ত। আগের চার জন হলেন- সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, লিটন কুমার দাস।
৪২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১৭ রান।
নির্বিঘ্নে দ্বিতীয় সেশন কাটিয়ে চা বিরতিতে বাংলাদেশ
দ্রুত দুই উইকেট পড়ার পর দলের হাল ধরেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। দুইজনের ব্যাটে চড়ে নির্বিঘ্নে দ্বিতীয় সেশন কাটিয়ে চা বিরতিতে গিয়েছে বাংলাদেশ। দলীয় রান একশোর ঘর পার করার পাশাপাশি দলকে শত রানের লিডও এনে দিয়েছেন এই দুজন।
চা বিরতিতে যাওয়ার আগে ৩৮ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১১০ রান তুলেছে বাংলাদেশ। শান্ত ৪৮ ও মুমিনুল ৩৮ রানে ব্যাট করছেন। দুইজনের জুটিতে ১৪৪ বলে এসেছে ৮৫ রান। প্রথমে আক্রমণাত্মক খেললেও শেষের দিকে বেশ রয়েসয়ে খেলেছেন দুজন। তাতে শেষ ১০ ওভারে এসেছে মাত্র ১৭ রান।
শান্ত-মুমিনুলের জুটিতে বাংলাদেশের একশ
দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের ব্যাটে চড়ে দলীয় শতরান পার হলো বাংলাদেসজ। দ্রুতু দুই উইকেট যাওয়ার পর দলের হাল ধরেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও চারে নামা মুমিনুল হক। এদুজনের ব্যাটে চড়ে বড় লিডের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
৩৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৪ রান। শান্ত ৪৪ ও মুমিনুল ৩৫ রানে ব্যাট করছেন।
শান্ত-মুমিনুলের জুটিতে পঞ্চাশ
দ্রুতু দুই উইকেট যাওয়ার পর দলের হাল ধরেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও চারে নামা মুমিনুল হক। এদুজনের ব্যাটে চড়ে বড় লিডের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দুজন মিলে গড়ে ফেলছেন পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি।
দ্রুত রান তোলার দিকে মনোযোগ দিলেন দুজন। বাঁহাতি স্পিনার এজাজ প্যাটেলের ওভারে দুজন মিলে ৩ চারে নিলেন ১৫ রান। এর সৌজন্যে দলীয় পঞ্চাশ পূর্ণ করলো বাংলাদেশ। একইসঙ্গে লিডও ছাড়াল পঞ্চাশ।
২৯ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯৫ রান। শান্ত ৪০ ও মুমিনুল ৩০ রানে ব্যাট করছেন।
শান্তর শটে ড্রেসিংরুমে জয়
টিম সাউদির বললে স্ট্রেইট ড্রাইভ খেলেছিলেন শান্ত। তাতে হাত ছোঁয়ালেন সাউদি। বল বাক খেয়ে আঘাত করলো নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তের স্টাম্পে। আগেই পপিং ক্রিজ ছেড়ে বেড়িয়ে আসা জয় ব্যাট ফেলারও সুযোগ পাননি। তার আগেই লাফিয়ে উঠলো বেলস। লম্বা ইনিংস খেলার আশা মাটি দিয়ে আক্ষেপ করতে করতে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন জয়।
জয়ের আউটে চারে নেমেছেন মুমিনুল হক। ১৭ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৪ রান। শান্ত ৮ ও মুমিনুল ১ রানে ব্যাট করছেন।
এজাজের শিকার জাকির
প্রথম ইনিংসের পুনরাবৃত্তিই যেন করলেন এজাজ প্যাটেল। অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে নিখুঁত টার্ন, ভেতরে ঢোকা বলে পরাস্ত জাকির হাসান। পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে হলেন এলবিডব্লিউ।জাকিরের বিদায়ে ২৩ রানে ভাঙল উদ্বোধনী জুটি। ২ চারে বাঁহাতি ওপেনার করলেন ১৭ রান।
তিন নম্বরে নেমেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মাহমুদুল হাসান জয় খেলছেন ৮ রানে।১৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৬ রান।
জয়-জাকিরের জুটিতে লিড নিয়ে মধ্যাহ্নভোজে বাংলাদেশ
দিনের শুরুতে নিউ জিল্যান্ডকে অলআউট করে ব্যাটিংয়ে নেমে নিরাপদেই প্রথম সেশন পার করেছে বাংলাদেশ। কোনো উইকেট না হারিয়েই লাঞ্চ বিরতিতে গেছে টাইগাররা। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলকে লিড এনে দিয়েছেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়। দুজনের ৬০ নলে ১৯ রানের জুটিতে ১২ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ।
শুরুতেই লিড নিলো বাংলাদেশ
সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনের শুরুতেই লিড নিয়েছে বাংলাদেশ। দিনের শুরুতে নিউ জিল্যান্ডকে ৩১৭ রানে গুটিয়ে দিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হোসেন। দুজন মিলে নিউ জিল্যান্ডের ৭ রানের লিড পেরিয়ে দলকে এনে দিয়েছেন এগিয়ে যাওয়ার রসদ।
বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ ওভারে বিনা উইকেটে ১০ রান। জাকির ৮ ও জয় ২ রানে ব্যাট করছেন।
মুমিনুলের জোড়া আঘাতে গুটিয়ে গেল নিউ জিল্যান্ড
জেমিসনের বিদায়ের পর একই ওভারে কিউই অধিনায়ক টিম সাউডিকেও ফেরালেন মুমিনুল। ফুল লেংথ ডেলিভারি ক্রস ব্যাটে খেলতে গিয়ে পরাস্ত হন সাউদি। বল আঘাত করে স্টাম্পে। কিউই অধিনায়ক করেন ৩৫ রান। নিউ জিল্যান্ড অল আউট ৩১৭ রানে। ৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং শুরু করবে বাংলাদেশ।
মুমিনুলে পরাস্ত জেমিসন
আগের দিন একটি উইকেট পেয়েছিলেন মুমিনুল হক। তৃতীয় দিনেও এই পার্টটাইমারের ওপর ভরসা রেখেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। পানি বিরতির পর প্রথম বলেই প্রতিদান দিলেন মুমিনুল হক। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করে লাইন ধরে ডেলিভারি ডিফেন্স করতে গিয়ে ব্যর্থ হন কাইল জেমিসন। বল প্যাডে আঘাত করতেই জোরাল আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।রিভিউ নিয়েও রক্ষা হয়নি।
জেমিসনের বিদায়ে ভাঙল ৫২ রানের নবম উইকেট জুটি। ৭০ বলে ২৩ রান করে ফিরলেন জেমিসন।
জেমিসন-সাউদি জুটিতে নিউ জিল্যান্ডের লিড
বাংলাদেশএক হতাশায় ডুবিয়ে লিড নিলো নিউ জিল্যান্ড। অধিনায়ক টিম সাউদির সঙ্গে কাইল জেমিসনের জুটিতে তিনশ পেরিয়ে লিড নিলো দলটি।
আগের দিনই নিউ জিল্যান্ডের প্রধান কোচ লুক রনকি বলেছিলেন, কাইল জেমিসন ও টিম সাউদির ব্যাটিংয়ে ভরসা আছে তাদের। দলের এই আস্থার পূর্ণ প্রতিদান দিচ্ছেন নিচের সারির দুই ব্যাটসম্যান।দুজন মিলে গড়েছেন পঞ্চাশ রানের জুটি।
১০১ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৩১৬ রান। সাউদি ৩৫, জেমিসন ২৩ রানে অপরাজিত।
তিনশ পেরিয়ে নিউ জিল্যান্ড
তৃতীয় দিনের শুরুতেই নিউ জিল্যান্ডকে গুটিয়ে দেওয়ার আশায় ছিল বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশকে হতাশ করে লিডের পথে এগিয়ে যাচ্ছে কিউইরা। দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন টিম সাউদি ও কাইল জেমিসন। দুজনের জুটিতে এরই মধ্যে তিনশ ছুঁয়েছে নিউ জিল্যান্ড।
৯৮ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ৩১৩ রান। আর ৩ রানে পিছিয়ে আছে তারা। জেমিসন ২৩ ও সাউদি ৩২ রানে অপরাজিত। অবিচ্ছিন্ন জুটির সংগ্রহ ৫৯ রান।
৮ উইকেট হারিয়েও লিডের আশায় নিউ জিল্যান্ড
বাকি আছে শেষ ২ উইকেট, দল পিছিয়ে ৪৪ রানে। নতুন বলে দারুণ ছন্দে প্রতিপক্ষের স্পিনাররা। তবু নিজ দলের লেজের সারির ব্যাটসম্যানদের ওপর আস্থা রাখছেন নিউ জিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচ লুক রনকি। তার মতে, এখনও লিড নিতে পারবে কিউইরা।
সিলেটে দ্বিতীয় দিনশেষে ৮ উইকেটে ২৬৬ রান নিয়ে খেলা শেষ করেছে নিউ জিল্যান্ড। বাংলাদেশের ৩১০ রান টপকানোর লক্ষ্য নিয়ে তৃতীয় দিন সকালে ব্যাটিংয়ে নামবেন দুই পেসার টিম সাউদি ও কাইল জেমিসন। এই দুজনের ব্যাটের দিকেই লিডের আশায় তাকিয়ে সফরকারীরা।
রনকি বলেন, ‘‘হ্যাঁ, অবশ্যই (লিড নেওয়া সম্ভব)। আমার তা-ই মনে হয়। এই বিশ্বাস থাকতে হবে যে, ভিন্ন পিচে আপনি কীভাবে ব্যাটিং করতে পারেন, কীভাবে খেলতে পারেন। আমাদের ব্যাটসম্যান এখনও যারা আছে, তাদের আন্তর্জাতিক ফিফটি রয়েছে। তাদের বিশ্বাস আছে, মাঠে গিয়ে কাজটা করার। ড্রেসিং রুমেও পরস্পরের প্রতির বিশ্বাস আছে। আমরা অবশ্যই তেমন কিছু করতে পারব।’
তৃতীয় দিনে স্পিনারদের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ
সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিনে স্পিনারদের দিকে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনে কেন উইলিয়ামসনের শতকের পরও ৪৪ রানে পিছিয়ে আছে কিউইরা। বাংলাদেশের স্পিনারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি তারা। তৃতীয় দিনেও তাই স্পিনারদের ওপরই ভরসা করছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
দ্বিতীয় দিনে নিউ জিল্যান্ডের ৮ উইকেটের সবকটি নিয়েছেন স্পিনাররা। এর মধ্যে তাইজুল ইসলাম একাই নিয়েছেন ৪ উইকেট। বাকিরাও সবাই এক উইকেট করে ঝুলিতে পুরেছেন। ফলে তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে স্পিন দিয়ে দ্রুতি ৮ উইকেট তুলে নিউ জিল্যান্ডকে বেঁধে ফেলা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস (১ম দিন শেষে): ৮৪ ওভারে ২৬৬/৮ (লাথাম ২১, কনওয়ে ১২, উইলিয়ামসন ১০৪, নিকোলস ১৯, মিচেল ৪১, ব্লান্ডেল ৬, ফিলিপস ৪২, জেমিসন ৭*, সোধি ০, সাউদি ১*; শরিফুল ১১-২-৪৪-১, মিরাজ ১৯-৩-৫৭-১, তাইজুল ৩০-৭-৮৯-৪, নাঈম ২২-৩-৬১-১, মুমিনুল ২-১-২-১)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩১০/১০, ৮৫.১ ওভার (জয় ৮৬, জাকির ১২, শান্ত ৩৭, মুমিনুল ৩৭, মুশফিক ১২, শাহাদাত ২৪, মিরাজ ২০, সোহান ২৯, নাঈম ১২, তাইজুল ৮, শরিফুল ১৩; সাউদি ১৪-২-৪৩-১, জেমিসন ১৭-৫-৫২-২, প্যাটেল ২৪-১-৭৬-২, সোধি ১৪-১-৭১-১, ফিলিপস ১৬-১-৫৩-৪)
Views: 11
Leave a Reply