ইট টেকস ওয়ান ডে। আইসিসির ২০২৩ বিশ্বকাপের স্লোগান ছিল এটি। শিরোপার জন্য একটি দিন প্রয়োজন। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য একটি দিন প্রয়োজন। বিশ্ব শাসনের জন্য একটি দিন প্রয়োজন।
২০১১ সালে ভারত দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জিতেছিল। ১২ বছর পর তাদের জার্সিতে আরেকটি তারার খোঁজে সমর্থকরা। সমর্থকরা বিশ্বাস করেন, বিশ্বকাপে যে দুর্দান্ত পারফর্ম করে আসছে ভারত সেই ধারাবাহিকতা থাকলে অস্ট্রেলিয়াকে ফাইনালে খুঁজেও পাওয়া যাবে না।
স্টেডিয়ামের গ্যালারিগুলো কোনো নামকরণ করা হয়নি। কেবল এ, বি, সি, ডি দিয়ে ব্লক করা। ভারতের জার্সিতে এরই মধ্যে ভরে গেছে গ্যালারি। কারো গায়ে রোহিতের জার্সি তো। কারো গায়ে বিরাটের। কেউ কেউ পরে এসেছেন মাহেন্দ্র সিং ধোনির জার্সিও। এছাড়া শোভা পাচ্ছে গিল, পান্ডিয়া, সামির জার্সিও। সঙ্গে হাওয়ায় উড়ছে ভারতের জাতীয় পতাকা। নীল সমুদ্রের সঙ্গে রঙিন তেরঙ্গা, সাউন্ডবক্সে বাজছে ‘বন্দে মাতারাম-চাক দে ইন্ডিয়া’। পুরো স্টেডিয়াম যেন ভারতের দূর্গ।
এমনটা হবে তা তো আগেই জানতেন অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তাইতো বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, আপনাকে এটা (দর্শকের চাপ) সামলাতে হবে। নিশ্চিত করেই দর্শক থাকবে একপাক্ষিক। কিন্তু খেলায় তো এমন বিপুলসংখ্যক সমর্থকদের চুপ করিয়ে দেওয়া হবে তৃপ্তিদায়ক। আমাদের লক্ষ্য এটাই।’
ফাইনালের জন্য আজ সমাপনী অনুষ্ঠানও রাখা হয়েছে। ম্যাচের আগে, মাঝে ও শেষে থাকছে নানা আয়োজন। দুপুর সাড়ে ১২টায় ভারতের বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে সাদা আকাশে হয়েছে এয়ার শো। নয়টি যুদ্ধবিমান আকাশ রাঙাবে অ্যাকোবেটিক ডিসপ্লেতে। সঙ্গে বেজেছে বিশ্বকাপের থিম সং।
স্টেডিয়ামের আশে পাশে হাজির হয়েছেন অনেকেই। তাদের অনেকের হাতেই নেই টিকিট। কিন্তু দলকে সমর্থন জোগাতে একটু কমতি নেই তাদের। ‘জিতেগা ভাই জিতেগা’ স্লোগানে পুরো স্টেডিয়াম এলাকা গমগম করছে। এই উৎসব, এই উচ্ছ্বাস শেষ পর্যন্ত থাকবে নাকি অস্ট্রেলিয়ার দাপটে নিস্তব্ধতায় পরিণত হয় সেটাই দেখার।
Views: 5
Leave a Reply