বেতন বাড়ার পরও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী ও জরুনসহ বিভিন্ন এলাকায় বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল থেকে পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এতে পুলিশ ও শ্রমিকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এক পর্যায়ে শ্রমিকরা বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে কাঠ ও টায়ারে আগুন ধরিয়ে দেন। এছাড়া বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেট নিক্ষেপ করে। এদিকে শ্রমিকরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হন। আহত শ্রমিকদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কোনাবাড়ি পপুলার হাসপাতাল ও কোনাবাড়ি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, একাধিক শ্রমিক আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে জালাল উদ্দিন, মানিক, সাগর হোসেন, আলামিন নামে শ্রমিকদের নাম পাওয়া গেছে।
কোনাবাড়ি ক্লিনিকের ইমারজেন্সি ডাক্তার অনিক বলেন, বেশ কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তবে গুরুতর আহত এক নারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, বেশ কয়েকটি কাটখানা শ্রমিকরা আঞ্চলিক সড়কগুলোতে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখে। এছাড়া ভাঙচুরের চেষ্টা করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি জোনের সহকারী কমিশনার আসাদুজ্জামান বলেন, সকালে কারখানা শ্রমিকদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বিজিবির লে. কর্নেল রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েকটি স্থানে সকালে সমস্যা হয়েছে। গাজীপুরে ২২ প্লাটুন বিজিবি কাজ করছে।
Views: 1
Leave a Reply