রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে গতরাতেই হাসপাতালে যান মার্কিন চিকিৎসকদল।
বৃহস্পতিবারও (২৬ অক্টোবর) বিএনপি চেয়ারপারসনকে দেখতে আবারও হাসপাতালে যাবেন তারা। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে ফের পর্যালোচনা করবেন। এরপরই চিকিৎসকরা লিভার সিরোসিস জটিলতার কারণে ফুসফুসে পানি জমা ও রক্তক্ষরণ বন্ধে ‘টিপস’ করা সম্ভব কি না— সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন।
বুধবার সন্ধ্যায় আসা দুই চিকিৎসকদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রফেসর হামিদ রাব জনহোপকিন্সের কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রামের পরিচালক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। আরেকজন সহযোগী অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলটন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলোজি বিভাগের পরিচালক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ম্যাডাম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তারা। এরপর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করবেন মার্কিন চিকিৎসকরা।
এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গত আড়াই মাস ধরে বেগম খালেদা জিয়াকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের অবস্থা ক্রমাগত খারাপের দিকে যাওয়ায় তাকে বাইরে নেওয়ার ব্যাপারে বারবার বলা এবং আবেদনের প্রেক্ষিতেও আইনি জটিলতায় সম্ভব হয়নি। যে কারণে বাইরে থেকে চিকিৎসক আনতে হয়েছে। গত সোমবার রাতেও তাকে একবার সিসিইউতে নিতে হয়েছে। সেখানে তার পেট থেকে পানি অপসারণ করা হয়। শ্বাসকষ্টের সমস্যা কিছুটা কমলে পরে তাকে আবার কেবিনে নেওয়া হয়। এর আগে চার দফায় খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে টানা চিকিৎসা নিতে গিয়ে তার শারীরিক দুর্বলতা প্রবল আকার ধারণ করেছে।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস ছাড়াও আর্থ্রাইটিস, কিডনি এবং উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তার হাটেও সমস্যা রয়েছে। গত ৯ আগস্ট থেকে আড়াই মাস ধরে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া।
Views: 7
Leave a Reply