বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভয়ঙ্কর প্রতারকরা দেশকে ধ্বংস করে ফেলছে। জঙ্গি নাটক সাজিয়ে সরকার পশ্চিমা বিশ্ব এবং ভারতকে দেখাতে চায়। জঙ্গি তো আওয়ামী লীগ। তারা প্রতিনিয়ত মানুষ হত্যা করছে।
সাবেক মন্ত্রী ও জাপার একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে এবং এস এম এম শামীমের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন— বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহীম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী নাহিদ, নওয়াব আলী আব্বাস খান, মাওলানা রুহুল আমিন, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
স্মরণসভায় মির্জা ফখরুল বলেন, এ দেশের জনগণ এমনিতেই ধর্মপ্রাণ। তাদেরকে জঙ্গি বানিয়ে ফায়দা লুটতে চায় এ সরকার। আমরা ভয়াবহ সময় পার করছি। বর্তমানে সব ক্ষেত্রেই শুধু প্রতারণা।
জাতি এখন কঠিন সময় পার করছে, মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি প্রায়ই ফ্যাসিবাদের কথা বলি। অনেকে জানতে চান, ফ্যাসিবাদ কী? বর্তমানে আওয়ামী লীগের শাসন দেখলেই বোঝা যাবে, ফ্যাসিবাদ শব্দের অর্থ কী। তাদের অবিচার-অত্যাচারের নমুনা দেখুন। দেশে এখন এক ব্যক্তির একদলীয় শাসন চলছে। তবে, আশার কথা হচ্ছে, সসাথারণ মানুষ জেগে উঠেছে। তারা তাদের অধিকার আদায়ে এগিয়ে আসছে।
২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক, উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এখানে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তারেক রহমানকে ফাঁসানো হয়েছে। ১৪৫ দিন রিমান্ডে নিয়ে তাড়াহুড়ো করে রায় দিয়ে মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। শেখ হাসিনা নিজেও এ মামলায় সাক্ষী ছিলেন, তিনি যাননি। মুফতি হান্নান ফাঁসির আগে একটি স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন, তা প্রকাশ হওয়ার আগেই তাকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছিলো। অথচ, বিএনপির শাসনামলেই মুফতি হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
জিয়া পরিবারকে খুনি বলায় প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, শহিদ জিয়া এ দেশে গণতন্ত্রের প্রবর্তক ছিলেন। তাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া আজীবন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার বড় সন্তান তারেক জিয়া এখন গোটা জাতিকে আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অথচ, প্রধানমন্ত্রী বলছেন বিএনপি নাকি খুনির দল।
কাজী জাফরের স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি আমাদের নায়ক। আমাদের ফিল্মের হিরো ছিলেন উত্তম কুমার আর রাজনীতির হিরো কাজী জাফর আহমদ।
কাজী জাফরের কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, একে একে প্রদীপ নিভে যাচ্ছে। আজকের এই দুর্দিনে তাদের খুব প্রয়োজন ছিল। দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে সমাজে উনাদের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে।
Views: 4
Leave a Reply