চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অবৈধভাবে কাজ করা ৩৫ স্বেচ্ছাসেবককে একযোগে হাসপাতাল থেকে বের করা দেয়া হয়েছে। অবৈধ স্বেচ্ছাসেবকদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, হয়রানি, অনিয়মর ও চুরির অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. আতাউর রহমান মুন্সি।
ফেব্রুয়ারি মাসের যে কোনো দিন সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে একটি আইপিএস চুরির ঘটনা ঘটে। শনিবার বিষয়টি নজরে এলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। এরপরই পুলিশের তৎপরতায় চোর এক ঘণ্টার মধ্যে আইপিএসটি ফেরত দিয়ে যায়।
নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক বলেন, আইপিএস চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের বের করে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আমরা স্বেচ্ছায় কাজ করলেও স্বচ্ছতার সাথে করি। একজনের অপরাধে আমাদের সবাইকে শাস্তি পেতে হল।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এএসএম ফাতেহ আকরাম জানান, স্বেচ্ছাসেবক নামধারী ৩৫ জন অবৈধভাবে কাজের নামে হাসপাতালে থাকত। তারা বিভিন্ন সময় রোগীদের হয়রানিসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল। আইপিএস চুরির ঘটনায় পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বধায়ক ডা. আতাউর রহমান মুন্সি বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে একটি আইপিএস উজ্জ্বল নামে এক স্বেচ্ছাসেবক চুরি করেছিল। বিষয়টি আমার নজরে আসলে পুলিশের হস্তক্ষেপে এক ঘন্টার মধ্যে আইপিএসটি ফেরত দেয় ওই স্বেচ্ছাসেবক। এছাড়াও জরুরি বিভাগের রোগীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অতিরিক্ত অর্থ আদায়, হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগে ৩৫ স্বেচ্ছাসেবককে বের করে দেয়া হয়েছে।
Views: 4
Leave a Reply