1. nasiralam4998@gmail.com : admi2017 :
রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন

সরকারি চাকরিতে সাড়ে ৩ লাখের বেশি পদ শূন্য

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১১৭ বার

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও অফিসে বেসামরিক জনবলের ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি পদ শূন্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে বিষয়টি উপস্থাপিত হয়।

ফরহাদ হোসেন জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষ প্রকাশিত ‘স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস-২০২১’ বইয়ের (জুন, ২০২২ সালে প্রকাশিত) তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সরকারি কার্যালয়ে প্রথম শ্রেণির ৪৩ হাজার ৩৩৬টি, দ্বিতীয় শ্রেণির ৪০ হাজার ৫৬১টি, তৃতীয় শ্রেণির ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৪৮টি ও চতুর্থ শ্রেণির ১ লাখ ২২ হাজার ৬৮০টি শূন্য পদ রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, ৪০তম বিসিএসের মাধ্যমে ২০২২ সালে ১ হাজার ৯২৯ জন নিয়োগ করা হয়েছে। ৪১তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা চলমান। ৪২তম বিশেষ বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে ৩ হাজার ৯৬৬ সহকারী সার্জন নিয়োগ করা হয়েছে। ৪৩তম বিএসএসের লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ চলছে। ৪৪তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ১১ জানুয়ারি শেষ হয়েছে। আর আগামী মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি টেস্টের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারিত আছে।

ফরহাদ হোসেন বলেন, আদালতে মামলা থাকায় নিয়োগবিধি প্রণয়ন কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় ও পদোন্নতির যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় কিছু শূন্য পদ পূরণ করা যায়নি।

এদিকে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডার পদে ৫ হাজার ৪৩৬টি শূন্য পদের অধিযাচন (ফরমায়েশ) পাওয়া গেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই শেষে প্রকৃত সুপারিশযোগ্য শূন্য পদের সংখ্যা জানানো সম্ভব হবে।

এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শামসুন নাহারের প্রশ্নের জবাবে স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস-২০২১ প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, দেশে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৫৪ হাজার ৯২৭। এর মধ্যে নারী ৪ লাখ ৪ হাজার ৫৯১; যা মোট চাকরিজীবীর প্রায় ২৬ শতাংশ। ২০১০ সালে এটি ছিল ২১ শতাংশ। তিনি জানান, প্রথম শ্রেণির পদে নারীদের জন্য আলাদা কোটা না থাকলেও ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে কর্মী নিয়োগে নারীদের জন্য ১৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা আছে।

Views: 3

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..