সাবিনা খাতুনদের বেতন বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে আসার পরদিন বাফুফে প্রধানের কাছে বেতন বাড়ানোর দাবি জানানো হয় এবং তা গ্রহণ করা হয়েছে বলে সাবিনা নিশ্চিত করেছেন।
তবে টাকার অঙ্কে বেতন কত সেটি নির্দিষ্ট করে বলেননি সাবিনা। বলছেন সম্মানজনক বেতন দেবে বাফুফে।
সাবিনা বলেন, ‘অঙ্কটা কেমন হবে তা এখন বলা যাচ্ছে না। তবে সম্মানজনক একটি অবস্থানে নেওয়া হবে বলা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে এই কথা বলেন অধিনায়ক। সাফের সর্বোচ্চ গোলদাতা বলেন, ‘আজ আমরা সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমরা আমাদের চাওয়া পাওয়াগুলো জানিয়েছি। তিনি তা পূরণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আমরা আমাদের বেতন বাড়ানোর কথা বলেছি। তিনি (সালাউদ্দিন) মেনে নিয়েছেন। শিগগিরই বেতন বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন।’
ফেডারেশন থেকে নিজেদের প্রাপ্তি নিয়ে সন্তুষ্টি সাবিনার, ‘আপনারা জানেন বাংলাদেশে ক্রিকেট ও ফুটবল ছাড়া অন্য কোনও নারী দলের খেলোয়াড়েরা বেতন পান না। আমরা সেই দিক থেকে নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করি।’
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাফুফে নারী ফুটবলারদের বেতন কাঠামো করেছে। তিনটি শ্রেণিতে ৩৬ জন নারী ফুটবলার বেতন পাচ্ছেন। শুরুতে ‘এ’ শ্রেণির বেতন মাসে ১০ হাজার, ‘বি’ শ্রেণির ৮ হাজার আর ‘সি’ শ্রেণির ৬ হাজার টাকা বেতন পেয়েছেন। এখন প্রতিটি গ্রেডে দুই হাজার টাকা করে বেতন বেড়েছে। হিসেব অনুযায়ী, সাবিনাদের মাসিক বেতন সাকুল্যে ১২ হাজার টাকা।
ফুটবলারদের আয়ের বড় উৎস হয় ক্লাব ফুটবল। এখানে মেয়েরা ভালো অঙ্কের টাকাই পাচ্ছেন! তবে ছেলেদের ধারের কাছেও নেই তারা। ক্লাব ফুটবলে একজন শীর্ষ পুরুষ ফুটবলার ৫০-৬০ লাখ টাকা পান। সেই অঙ্কটা জাতীয় দলের ফুটবলারের জন্য কোটির কাছাকাছি গিয়েও ঠেকে। নবাগতদের কেউ কেউ ১০-১৫ লাখেও দল পেয়ে যান।
আর নারীদের অঙ্কটা ৩-৫ লাখের ভেতরেই ঘোরাফেরা করে। কেবল বসুন্ধরা কিংসে যারা খেলছেন তারা এখন সাফের রানি। তাদের কি আরও বেশি পারিশ্রমিক হওয়া উচিত না? বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দীন ঘোষণা দিয়েছিলেন এভাবে, ‘আমরা স্পন্সর থেকে এখন যে অর্থ পাচ্ছি সেটা দিয়ে মেয়েদের ভালোভাবে দেখভাল করছি। সামনে যদি আমরা আরও ভালো স্পন্সরশিপ অ্যামাউন্ট পাই নিশ্চয়ই ওদের বেতন, অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হবে।’
মেয়েদের বেতনের বাইরে বাফুফে প্রতি মাসে খাওয়া, কোচিং স্টাফদের বেতন, খেলোয়াড়দের সরঞ্জাম, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যাওয়ার খরচ বহন করে। সবই আসে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের থেকে। সেই অঙ্কটা বছরে ৪ কোটি।
Views: 5
Leave a Reply