স্টাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দত্তাইল গ্রামে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে একটি বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে জব্দ করা হয় ৭৩ বস্তা ভেজাল টিএসপি সার। এসময় কীটনাশক ব্যবসায়ী নয়ন আলীকে আটক করা হলেও পালিয়ে যান তার বাবা রবিউল ইসলাম। পরে গ্রেফতার এড়াতে তিনি বিষপান করেন।
তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে নেওয়ার পথে গতকাল রোববার (১৭ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান তিনি।
পুলিশ জানায়, কীটনাশক ব্যবসায়ী নয়ন আলী রোববার ভোরে ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে সরকারি বস্তায় করে ৭৩ বস্তা ভেজাল টিএসপি সার বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। বিএডিসির লোগো থাকা বস্তাগুলোও নকল। পরে তার বাড়ির গোয়াল ঘরে সারের বস্তাগুলো রাখার সময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানান একজন কৃষক। পরে অভিযান চালিয়ে সারের বস্তাগুলো জব্দ করে পুলিশ। এসময় আটক করা হয় কীটনাশক ব্যবসায়ী নয়ন আলীকে। তবে পালিয়ে যান তার বাবা রবিউল ইসলাম।
বিকেলে ভেজাল সার মজুত ও বিক্রির অপরাধে কীটনাশক ব্যবসায়ী নয়ন আলীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। অন্যদিকে গ্রেফতার এড়াতে ওইদিন রাতেই বাড়িতে বিষপান করেন রবিউল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, বাবা-ছেলে দুজনই কীটনাশক ব্যবসা করতেন। ভেজাল সারের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে রবিউলের প্রতি এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে লোকলজ্জার ভয় ও গ্রেফতার এড়াতে রবিউল ইসলাম বিষপানে আত্মহত্যা করেন। রাতেই জানাজা শেষে গ্রাম্য কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
রাজশাহীর সময় /এএইচ
Views: 4
Leave a Reply