অওরা : গ্রাম-গাঁয়েও ফলটি ডেউয়া নামেই পরিচিত। এবড়ো থেবড়ো কিছুটা কাঁঠালের মতো দেখতে এ ফলটির ভেতরে হলুদ রঙের কোষ থাকে। পাকলে এই ফলটি অতি মোলায়েম হয়। খেতে মিষ্টি-টক স্বাদের। গরমে এর ভর্তা খেতে দারুণ লাগে। চলুন এবার ডেউয়ার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক-
ডেউয়া ফলের পুষ্টিগুণ
ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়ামের আঁধার বলা হয় ডেউয়া ফলকে। এগুলো ছাড়াও ডেউয়া ফলে রয়েছে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। ডেউয়া ফলের প্রতি ১০০ গ্রামে রয়েছে- খনিজ ০.৮ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৬৬ কিলোক্যালরি, আমিষ ০.৭ গ্রাম, শর্করা ১৩.৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৫০ মিলিগ্রাম, লৌহ ০.৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি১ ০.০২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২ ০.১৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ১৩৫ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৩৪৮.৩৩ মিলিগ্রাম।
ডেউয়া ফলের উপকারিতা
ডেউয়া খেলে স্মৃতিশক্তিও বাড়ে।
অত্যাধিক তৃষ্ণা নিবারণে কাজ করে টক জাতীয় এই ফল।
কোনো কারণে বমি বমি ভাব অনুভব হলে ডেউয়া খেলে দ্রুত সেরে যায়।
মরিচ, লবণ, চিনি দিয়ে ডেউয়ার ভর্তা খেলে সানস্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
ত্বকের খসখসে ভাব দূর করে মসৃণ ভাব ফিরিয়ে আনে। অর্থাত্ শরীরের শুষ্কভাব দূর করে।
এই ফলে বিদ্যমান ভিটামিন সি ত্বক, চুল ও দাঁতের নানা রোগ প্রতিরোধ করে। আর ক্যালসিয়াম দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করে। এর পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
মুখের রুচি ফেরাতে খেতে পারেন এই ফল। ডেউয়া ফলের রসের সঙ্গে সামান্য লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে হবে। সপ্তাহ না পেরুতেই মুখে রুচি ফিরে আসবে।
অনিয়ন্ত্রিত ওজন এ সময়ের একটা বড় সমস্যা। অথচ ঠাণ্ডা পানিতে ডেউয়া ফলের রস মিশিয়ে নিয়মিত পান করলেই আমরা আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। এমনকি ডেউয়া ফল রোদে শুকিয়ে নিয়ে অফ সিজনেও খাওয়া যায়।
পেট পরিষ্কার না থাকলে সারাদিন কাটে অস্বস্তিতে। পেটের গণ্ডগোল থেকে রেহাই পেতে সকালে খালি পেটে খান কাঁচা ডেউয়া। এজন্য গরম পানির সঙ্গে কাঁচা ডেউয়া বাটা মিশিয়ে নিন।
দর্শনা নিউজ 24/এইচ জেড
Views: 3
Leave a Reply