অওরা : ইলিশ তো আর শুধু শুধু মাছের রাজা হয়নি, পুষ্টিগুণে ভরপুর এই সুস্বাদু মাছ। এটা যতটা সুস্বাদু, ততটাই পুষ্টিকর। তবে অনেকের ধারণা, ইলিশে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। হ্যাঁ, ইলিশে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। কিন্তু সেটা ভালো ফ্যাট। অর্থাত্ পলি-আনস্যাচুরেটেড এবং মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণই বেশি। এটা শরীরের জন্য খুবই উপকারি। যা উপকারি আমাদের শরীরের জন্য । মাঝারি সাইজের ইলিশ মাছ সবচেয়ে পুষ্টিকর। মোটামুটি সাতশো থেকে এক কেজির ওজনের ইলিশ মাছের মধ্যেই একমাত্র পলি ও মনো আন-স্যাচুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যায়।
এর চেয়ে বেশি ওজনের ইলিশ মাছ হলেই জানবেন সেটিতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি। সেটা আমাদের শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। তবে একদম কম ওজনের ইলিশ মাছ যাকে খোকা ইলিশও বলা হয় সেটা কিন্তু ততটা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ নয়। এই মাছে প্রোটিনের পরিমাণ বেশ কম থাকে। প্রচুর প্রোটিন, জিঙ্ক, ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়ামের মতো খনিজ আছে মাঝারি সাইজের ইলিশ মাছে। ২২.৩ শতাংশ প্রোটিন আছে ১০০ গ্রাম ইলিশ মাছে। আমরা সকলেই এতদিনে জেনে গেছি করোনা কালে জিঙ্কের গুরুত্ব । এছাড়াও জিঙ্ক ডায়াবেটিস রোগীদের পক্ষে খুব ভালো। সেলেনিয়াম আবার অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কাজ করে। এছাড়াও রয়েছে ক্যালসিয়াম আর আয়রনের পুষ্টিগুণও।
হার্টের জন্যও খুব ভালো ইলিশ মাছ এবং ইলিশ মাছের তেল। যাদের কোলেস্টরল বেশি তারাও ইলিশ মাছ খেতে পারেন। কারণ তা খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলকে কমিয়ে দেয়। এলডিএল বেড়ে গেলে কিন্তু হার্ট ব্লকের সমস্যা হতে পারে।
এছাড়াও ইলিশ মাছে আছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই-ও। তবে খুব কম খাবারেই ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। বাতের ব্যাথা কমাতে ও অস্টিওপোরোসিসের জন্যও ইলিশ মাছ খুব ভালো।
ইলিশ মাছে আরজিনিন থাকায় তা ডিপ্রেশনের জন্যও খুব ভালো। তাছাড়া ইলিশ মাছ ক্যান্সার প্রতিরোধক। হাঁপানি-র উপশমেও উপকারি। আবার সর্দি কাশি প্রতিরোধেও দারুণ কার্যকরী ইলিশ মাছ।
দর্শনা নিউজ 24/এইচ জেড
Views: 3
Leave a Reply