অনলাইন ডেস্ক: শিশু মীমকে নদী থেকে উদ্ধার করে আনেন মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ি এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার ফকির। নদী থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর জ্ঞান ফেরে ৯ বছর বসয়ী শিশু মীমের। জ্ঞান ফিরতেই কান্নাকাটি শুরু করে সে। খুঁজতে থাকে স্বজনদের, বলতে থাকে ‘আমার মা-বাবা ও বোনরা কোথায়?’
মীমকে কোলে করে নিয়ে যান দোতার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। সেখানে রাখা আছে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় নিহত সারি সারি ২৬ জনের লাশ। সেই লাশের সারি থেকে একে একে বের করলো তার আপনজনদের।
মীমের বাবা মনির হোসেন, মা হেনা বেগম, বোন রুমি ও সুমিও লাশ হয়ে গেছেন। লাশ দেখেই শুরু হলো মীমের অঝোরে কান্না। তার কান্নায় ভারি হয়ে ওঠে সেখাকার পরিবেশ।
পদ্মায় বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষে বহু হতাহতের ঘটনার এক প্রত্যক্ষ্যদর্শী মীম। এক আত্মীয়ের মৃত্যুর খবর শুনে মা-বাবা আর দুই বোনের সঙ্গে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিল মীম। কাঁদতে কাঁদতে শিশুটি বলছিলো, সে ঢাকার মিরপুরে থাকে। বাড়ি খুলনায়।
মীমকে উদ্ধার করা দেলোয়ার ফকির জানান, উদ্ধার করে হাসপাতালে আনার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলে শিশুটির জ্ঞান ফেরে। এরপর মা-বাবা ও বোনদের খুঁজতে থাকে এবং কান্না করতে থাকে। পরে একটু শান্ত হলে এখানে নিয়ে আসি।
কান্না করে শিশুটি বলছিলো, ঢাকা থেকে শিমুলিয়ায় আসার পর স্পিডবোটে ওঠে তারা। স্পিডবোট অনেক দ্রুত চলছিল। তখন থেকেই তিন বোন ভয়ে কান্নাকাটি করছিল।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, মীম নিজেই পরিবারের চার সদস্যের মরদেহ শনাক্ত করেছে, যা খুবই মর্মান্তিক। শিশু মীমের বয়ান অনুযায়ীই সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে পুলিশ। পরে মা, বাবা ও দুই বোনের লাশসহ মীমকে খুলনায় গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
দর্শনা নিউজ 24/এইচ জেড
Views: 5
Leave a Reply