অওরা : এমনই একটা বিষয় ‘খালি পায়ে হাঁটা’। গবেষণা বলা হয়েছে, খালি পায়ে হাঁটলে আমাদের শরীর ভাল থাকে। শুধু তাই নয়, মস্তিষ্ক থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত শরীরে প্রতিটি কণাকে সুস্থ রাখতে খালি পায়ে হাঁটার কোনো বিকল্প নেই।
চলুন তাহলে জেনে নেই খালি পায়ে হাঁটলে আরো কি কি উপকার পাওয়া যায়-
পেশী ও হাড়ের গঠন: খালি পায়ে হাঁটার সময় ভেনাস রিটার্ন বেড়ে যায়। অর্থাত্ হার্টে বেশি বেশি রক্ত পৌঁছে যেতে থাকে। এর ফলে পেশী এবং হাড় আরো শক্ত হয়ে ওঠে। একই সাথে হার্টের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
শরীরে রক্তচলাচল স্বাভাবিক হয়: খালি পায়ে হাঁটের সময় মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাবে সারা শরীরে রক্তচলাচল ঠিক থাকে। এর ফলে অক্সিজেন সমৃদ্ধি রক্ত বেশি বেশি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পৌঁছে কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। এতে স্বাভাবিকভাবেই নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
দেহের গঠন: একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পায়ে হাঁটলে দেহের গঠন বৃদ্ধি করে। কিন্তু বেশি বেশি জুতা পায়ে দিয়ে থাকলে পায়ের তলার গঠন খারাপ হতে শুরু করে। আর একবার পায়ের গঠন খারাপ হলে সরাসরি তার প্রভাব পরে আমাদের শরীরের উপর। এর ফলে ব্যাক পেন, ঘারে যন্ত্রণা এবং গোড়ালিতে ব্যথা হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: আমাদের পায়ের তলায় থাকা একাধিক সেন্সারি নার্ভ, খালি পায়ে হাঁটার সময় অ্যাকটিভ হয়ে গিয়ে শরীরের ভিতরে পজেটিভ এনার্জি তৈরি করে। ফলে ধীরে ধীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে নানাবিধ সংক্রমমের আশঙ্কা একেবারে শূন্যে এসে দাঁড়ায়।
অনিদ্রার সমস্যা দূর করে: রাতে কি ঠিক মতো ঘুম আসে না। তাহলে আজ থেকেই খালি পায়ে হাঁটা শুরু করুন। দেখবেন রাতে ঠিকমতো ঘুম আসবে। কারণ খালি পায় হাঁটার সময় আমাদের শরীর থেকে নেগেটিভ এনার্জি বেরিয়ে যায়। সেই সাথে স্ট্রেস রিলিজও হয়। শুধু তাই নয়, মস্তিষ্কে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যাওয়ার কারণে ঘুম আসতে আর কোনো অসুবিধা হয় না।
হার্ট অ্যাটাক শঙ্কা কমায়: শরীরে রক্তচলাচল যখন স্বাভাবিকভাবে হতে থাকে, তখন ব্লাড ক্লট এবং আর্টারিতে ময়লা জমার আশঙ্কা কমে যায়। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই নানাবিধ হার্টের রোগ হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে থাকে না বললেই চলে।
প্রসঙ্গত, খালি পায়ে হাঁটার আরেকটি উপকারিতা হল, এই সময় ব্লাড সেলগুলি মারাত্মক অ্যাকটিভ হয়ে যায়। রক্ত ঘন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়: আজকের দুনিয়ায় সফল হতে গেলে বুদ্ধির ধারণা থাকা একান্ত প্রয়োজন। বুদ্ধি না থাকলে বিপদে পড়তে হয়। তাই মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে একটু খালি পায়ে হাঁটাহাঁটি শুরু করুন। এমনটা করলেই দেখবেন ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের অন্দরে থাকা নিউরনগুলি মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে অ্যাকটিভ হয়ে যাবে। এর ফলে একদিকে যেমন স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পাবে, তেমনি বুদ্ধিও বাড়তে শুরু করবে।
প্রসঙ্গত, আমাদের শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশই জল দিয়ে গঠিত। তাই তো মাটির সাথে আমাদের সম্পর্ক যত নিবিড় হবে, তত আমাদের শরীরের নানাবিধ তরলের উপাদানের ভারসাম্য ঠিক থাকবে। এতে রোগের আশঙ্কা যেমন কমবে, তেমনি শরীর একেবারে চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
দর্শনা নিউজ 24/এইচ জেড
Views: 3
Leave a Reply