1. nasiralam4998@gmail.com : admi2017 :
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

প্রিন্স ফিলিপ: ডিউক অফ এডিনবারার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে শনিবার ১৭ই এপ্রিল

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৪২ বার
শেষকৃত্য সম্পন্ন ১৭ই এপ্রিল
ফাইল ফটো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে প্রিন্স ফিলিপের শেষ কৃত্য অনুষ্ঠিত হবে উইন্ডসরে আগামী শনিবার ১৭ই এপ্রিল।

ডিউকের শেষ কৃত্য রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে হবে না। সেটি হবে “রাজপরিবারের আনুষ্ঠানিক রীতি অনুযায়ী রাজকীয় অন্ত্যেষ্টি”, এই তথ্য জানিয়ে বাকিংহাম প্রাসাদের মুখপাত্র বলেছেন “ডিউকের শেষ কৃত্য হবে তার শেষ ইচ্ছা মেনে”।

প্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে আগামী শনিবার ১৭ই এপ্রিল ব্রিটিশ স্থানীয় সময় বিকাল তিনটায় তার শেষ কৃত্য হবে।

এই অনুষ্ঠানে তাঁর বর্ণময় দীর্ঘ জীবনের নানা দিক প্রতিফলিত হবে। মহামারির নিয়মবিধি মেনে প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যানুষ্ঠান সীমিত আকারে করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

রানি এই অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন।

উইন্ডসর কাসেলের নিজস্ব চ্যাপেল সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে ডিউক অফ এডিনবারার মরদেহ শায়িত রাখা হয়েছে। প্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁর কফিন ঢাকা আছে তার ব্যক্তিগত পরিচিতি বহনকারী কাপড়ে এবং তার ওপর সাজানো রয়েছে পুষ্পস্তবক।

তাঁর মরদেহ জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শায়িত রাখা হবে না।

শনিবার তার কফিন উইন্ডসর কাসেলের প্রবেশদ্বার থেকে গাড়িতে তোলা হবে। ডিউক নিজেই এই যাত্রার পরিকল্পনার সাথে যুক্ত ছিলেন।

প্রাসাদ থেকে বলা হয়েছে, প্রিন্স অফ ওয়েলস, প্রিন্স চালর্স সহ রাজপরিবারের সদস্যরা ডিউক অফ এডিনবারার কফিনের পেছনে পায়ে হেঁটে চ্যাপেলে যাবেন, তবে রানি যাবেন আলাদাভাবে।

ব্রিটেনে আজ শনিবার ৪১ বার তোপধ্বনি করে এবং গির্জায় ঘন্টা বাজিয়ে রানি এলিজাবেথের স্বামী, ডিউক অব এডিনবারাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।

ব্রিটেনের বিভিন্ন জায়গা থেকে, সেইসঙ্গে স্পেনের জিব্রলটার এবং সমুদ্রে রণতরী থেকে সমন্বিত ও বর্ণাঢ্য তোপধ্বনি করা হয়েছে।

ব্রিটিশ সময় দুপুর বারোটা থেকে লন্ডন, স্কটল্যান্ডের এডিনবারা, ওয়েলসের কার্ডিফ এবং আয়ার্ল্যান্ডের বেলফাস্ট থেকে প্রতি মিনিটে এক রাউন্ড করে ৪১বার তোপধ্বনি করা হয়।

সমুদ্রে রয়াল নেভির জাহাজগুলো থেকেও ডিউকের স্মরণে তোপধ্বনি করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রিন্স নেভাল অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরে তিনি লর্ড হাই অ্যাডমিরাল পদে আসীন ছিলেন।

এই তোপধ্বনির অনুষ্ঠান টিভি ও অনলাইনে লাইভ সম্প্রচার করা হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে মানুষজনকে ঘরে থেকে এই অনুষ্ঠান দেখতে অনুরোধ করা হয়েছিল।

এধরনের সম্মানসূচক তোপধ্বনি এর আগে করা হয়েছিল ১৯০১ সালে রানি ভিক্টোরিয়ার সম্মানে এবং ১৯৬৫ সালে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের মৃত্যুর পর তাঁর স্মরণে।

ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ৭৩ বছরের জীবনসঙ্গী, তার স্বামী ডিউক অফ এডিনবারা ৯৯ বছর বয়সে শুক্রবার উইন্ডসর প্রাসাদে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

ব্রিটিশ রাজ পরিবারের ইতিহাসে কোন রাজা বা রানির এত দীর্ঘসময়ের জীবনসঙ্গী আর কেউ ছিলেন না।

প্রিন্স ফিলিপ, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামীর ৯৯ বছর বয়সে প্রয়াণের খবর শুক্রবার ঘোষণা করা হয় বাকিংহাম প্রাসাদের বিবৃতিতে।

প্রিন্স ফিলিপ ১৯৪৭ সালে প্রিন্সেস এলিজাবেথকে বিয়ে করেন। এর পাঁচ বছর পর প্রিন্সেস এলিজাবেথ ব্রিটেনের রানি হন।

বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়: “মহামান্য রানি খুবই দুঃখের সাথে তাঁর প্রিয় স্বামী প্রিন্স ফিলিপ, ডিউক অফ এডিনবারার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করেছেন”।

“ডিউক, উইন্ডসর কাসেলে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।”

বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে শুক্রবার দুপুর বারোটার কিছু পরই দেয়া এই বিবৃতিতে জানানো হয় ”রানি গভীরভাবে শোকাহত”।

বাকিংহাম রাজপ্রাসাদের পতাকা শুক্রবার থেকেই অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।

ডিউকের শেষকৃত্য হওয়ার পরদিন সকাল আটটা পর্যন্ত সব সরকারি ভবনগুলোতে পতাকা অর্ধনমিত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আটদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সুপারিশ করেছেন যা রানি অনুমোদন করেছেন বলে বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে।

আটদিনের রাষ্ট্রীয় শোক চলবে ১৭ই এপ্রিল ডিউক অফ এডিনবারার শেষ কৃত্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত।

ওয়েস্টমিনস্টার গির্জায় বিশাল ঘণ্টায় প্রতি ৬০ সেকেন্ড পর পর ৯৯ বার ঘণ্টাধ্বনি করা হয়েছে গতকাল শুক্রবার- ডিউকের জীবনের প্রতিটি বছরের স্মরণে।

বহু মানুষ বাকিংহাম প্রাসাদের ফটকে এবং উইন্ডসর প্রাসাদের বাইরে ফুল রেখে প্রিন্স ফিলিপের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।

তবে সরকার মহামারির কারণে মানুষজনকে কোথাও জড়ো হতে বা পুষ্পস্তবক না দিতে অনুরোধ করেছিল।

রাজপরিবারের পক্ষ থেকেও জনসাধারণকে অনুরোধ জানানো হয়েছে ফুল দেবার বদলে ডিউকের স্মরণে দাতব্য প্রতিষ্ঠানে সেই অর্থ দান করার জন্য।

প্রিন্স ফিলিপ শারীরিক অসুস্থতার কারণে লন্ডনের কিং এডওয়ার্ড হাসাপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবছরের ১৬ই ফেব্রুয়ারি।

পরে লন্ডনে হৃদরোগের জন্য বিশেষ হাসপাতাল সেন্ট বার্থলোমিউ হাসপাতালে তার পুরনো হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণে তার সফল অস্ত্রোপচারও হয়েছিল।

এক মাস চিকিৎসার পর ১৬ই মার্চ তিনি উইন্ডসর কাসেলে ফিরে যান। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন শুক্রবার সকালে। বিবিসি

দর্শনা নিউজ 24/এইচ জেড

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..