পোস্তগোলা সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে আজ থেকে। যা চলবে আগামী ৮ মার্চ পর্যন্ত। মেরামত চলাকালীন এই মহাসড়ক ব্যবহারকারী যানবাহনকে বিকল্প দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুট ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
তবে, বিকল্প সড়কটি ব্যবহারে নারাজ শরীয়তপুরের যাত্রী ও চালকেরা। তারা ওই রুটে সময় অপচয়ের পাশাপাশি ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন। তার পরিবর্তে বাবুবাজার রুটে গাড়ি চলাচলের অনুমতি চেয়েছেন।
শরীয়তপুরের বাসিন্দা আরিফ হোসেন বলেন, শরীয়তপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় যেতে ২ ঘণ্টা সময় লাগে। এখন পোস্তগোলা সেতুর সংস্কার কাজ চলায় শরীয়তপুর থেকে দৌলতদিয়া হয়ে ঢাকায় যাওয়ার কথা বলা হচ্ছে। এতে সারাদিন চলে যাবে। আমাদের এই ভোগান্তির কথা চিন্তা করে বাবুবাজার ব্রিজ দিয়ে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হোক।
জাকির হোসেন দুলাল নামে এক যাত্রী বলেন, পদ্মা সেতুর জন্য খুবই অল্প সময়ে ঢাকা চলে যেতে পারি। কিন্তু পোস্তগোলা সেতুর সংস্কারের জন্য আমাদের বিকল্প পথ ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে। এতে আমাদের সময় ও ভাড়া দুটোই বাড়বে। আমরা অত দূরের পথ ব্যবহার করতে চাই না। বিকল্প পথ হিসেবে বাবুবাজার সেতু ব্যবহার করে শরীয়তপুর ও ঢাকায় চলাচল করতে চাই।
বাসচালক রাজীব মাদবর বলেন, এতো দূরের পথ কোনো যাত্রী যাবে না। আর মালিক সমিতির গাড়ির ভাড়াও পোষাবে না। আমরা বাবুবাজার ব্রিজ ব্যবহার করে ঢাকায় চলাচল করতে চাই।
শরীয়তপুর জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি ফারুক আহমেদ তালুকদার বলেন, পোস্তগোলা ব্রিজের সংস্কার কাজ চলায় রুটটি কয়েকদিন বন্ধ থাকবে। বিষয়টি নিয়ে সড়ক ও জনপথ এবং ডিএমপি থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ডিএমপির ডিসির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কালকের মধ্যে একটি সমাধান দেবেন বলে জানিয়েছেন। আশা করি যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি হবে না।
এর আগে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, পোস্তগোলা সেতুর দুটি গার্ডারের মেরামত ও রেট্রোফিটিংয়ের কাজ ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৮ মার্চ চলমান থাকবে। এ অবস্থায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে ওই সড়কে চলাচলকারী যানবাহনকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, শরীয়তপুর জেলার বাসগুলোকে ঢাকা মহানগরে প্রবেশ ও বের হতে হলে দৌলতদিয়া হয়ে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড ব্যবহার করতে হবে।
Views: 2
Leave a Reply