বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম জানাজা বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা আড়াইটায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেটা তৃতীয় জানাজায় পরিণত হয়েছে। এর আগে সকালে মরহুমের ধানমন্ডির বাসায় প্রথম জানাজা হয়। এর পর তার মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় সিক্ত হন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দুপুরে রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে গার্ড অব অনার জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে দুপুর ১টার পর ডা. জাফরুল্লাহর মরদেহ তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শেষবারের মতো নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হয় তার দ্বিতীয় জানাজা।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ন্যাপ, জাসদ, বিভিন্ন বাম রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে তার তৃতীয় জানাজা হয় বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে।
বিকেল ৪টায় মরহুমের চতুর্থ জানাজা হয় ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল চত্বরে। সেখান থেকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হবে।
মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তার মরদেহ রাখা হবে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জুমার নামাজের পর পঞ্চম ও শেষ জানাজা হবে গণবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাকে বাদ আসর সমাহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ছেলে বারিষ চৌধুরী। তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জানাজা শুরুর আগে বলেন, বাবার ইচ্ছে ছিল, তিনি মারা গেলে তার দেহ যেন দান করা হয়। আমরা এ ব্যাপারে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, তারা কেউ আমার বাবার শরীরে ছুরি চালাতে পারবেন না। বাবার গড়া গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও একই কথা বলায় আমরা বাবাকে সাভারে সমাহিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ডা. জাফরুল্লাহ। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কোয়েপাড়া গ্রামে। তার বাবা হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। মা হাছিনা বেগম চৌধুরী ছিলেন গৃহিনী। মা-বাবার ১০ সন্তানের মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন সবার বড়।
Views: 4
Leave a Reply