মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিনে মুক্তির বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, তারা মুক্তির পেয়েছেন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এতেই প্রমাণিত হয়, দেশের আইন-আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন। এখানে সরকারের পক্ষ থেকে কিন্তু বিরোধিতা করা হয়েছিল। এরপরও তারা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আদালত থেকে মুক্তি পেয়েছেন। বিএনপি বার বার আইন আদালত নিয়ে প্রশ্ন তুলে, এতেই প্রমাণিত হয় সেটি মিথ্যা। আইনের মাধ্যমে সেটি প্রমাণিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
১৬ জানুয়ারি বিএনপির কর্মসূচির দিন ঢাকা শহরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সতর্ক পাহারায় থাকবে বলেও জানান ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বিএনপির কর্মসূচি দেখলে মনে হয় খালি কলসি বেশি বাজে। আমরা ঢাকা শহরে তাদের গণঅবস্থান কর্মসূচিতে যেমন সতর্ক পাহারায় ছিলাম, তেমনি ১৬ জানুয়ারিতেও রাস্তায় থাকব।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা আব্বাস ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জেল থেকে বের হওয়ার পর গণতন্ত্রের কথা বলছেন। গতকাল মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চাই না’। আমরাও সেটা বলি, আপনারা নির্বাচনে আসুন, আপনাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন।
‘জনগণ যদি চায় তাহলে আমরা দেশ পরিচালনা করবো। জনগণ যাদের চাইবে তারাই দেশ পরিচালনা করবে। এটাই হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার রীতি-নীতি। বিএনপি গণতন্ত্রের পথেই হাঁটবে আমরা সেটাই আশা করি।’
বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা গতকাল ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করেছি, সেটা কোনও রাস্তার মধ্যে করিনি। আর বিএনপি বরাবরই প্রধান সড়ক বন্ধ করে জনদুর্ভোগ তৈরি করে সভা-সমাবেশ করে। রাজনীতি জনদুর্ভোগের জন্য নয়। তারা তো একটি মাঠ বেছে নিতে পারতো। এটিই হচ্ছে বিএনপির রাজনীতির বড় একটি দুর্বলতা।
‘গতকাল বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ঢাকা শহরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা যেভাবে বক্তব্য রেখেছেন, বাস্তবতার সঙ্গে তার কোনও মিল নেই। বাস্তবতা হচ্ছে, তাদের সমাবেশে নেতাকর্মীরাও সবাই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন নাই। তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এনেছেন, তারপরও নয়াপল্টনে আশানুরূপ লোক হয় নাই। বিএনপি আবার ১৬ জানুয়ারি কর্মসূচি দিয়েছে। আমরা যেমন গতকাল সতর্ক পাহারায় ছিলাম সারা ঢাকা শহরে। ১৬ তারিখেও আমরা ঢাকা শহরে সতর্ক পাহারায় থাকবো। তারা যদি কোনও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায় তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেটা প্রতিহত করা হবে।
দেশে কাউকে শান্তি, স্থিতি, শৃঙ্খলা ও জনজীবনের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করে দেন তথ্যমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ জনগণের মধ্য থেকে উঠে আসা একটি দল উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের রায় নিয়ে দেশ পরিচালনা করছে। গত নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল। সব মিলিয়ে ৭টি আসন পেয়েছে। এতে তারা তাদের জনপ্রিয়তা বুঝতে পেরেছে। আমরা জনগণের শক্তিতে বলিয়ান, অন্য কোনও কিছুর শক্তিতে আমরা বলিয়ান না। আর বিএনপি বিদেশিদের পদলেহন করে, জনগণের শক্তিতে তারা বলিয়ান না হওয়ায়- জনগণকে বিশ্বাস করে না। যেহেতু তাদের উৎপত্তি জনগণ থেকে হয়নি। এজন্য তারা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে বিদেশিদের পদলেহন করেন, এতেও তাদের লাভ হয়নি।
Views: 4
Leave a Reply