মিরপুর শের-ই-বাংলার উইকেটে ভারতের জন্য কি অপেক্ষা করছে তা সময়ই বলে দেবে। তবে ঢাকা টেস্ট শুরুর আগে মিরপুরের ২২ গজ নিয়ে দ্বিধায় আছে ভারতীয় শিবির তা বুঝতে বাকি রইল না।
বিশেষ করে সফরকারী দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়। পালা করে ভারতীয় প্রধান কোচ ম্যাচের আগের দিন আজ তিন থেকে চারবার উইকেট দেখেছেন। কখনো দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখেছেন। কখনো উইকেটের চারপাশে থাক দড়ি টপকে ভেতরে গিয়ে টিপে উইকেট পরখ করেছেন। একবার টোকা দিয়েও উইকেট বুঝতে দেখা গেল তাকে।
ব্যাটসম্যানদের দাঁড়ানোর স্থান, বোলারদের পপিং ক্রিজ এবং মাঝ উইকেটও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বোঝার চেষ্টা করেছেন। দূর থেকে তাকে দেখে খুব একটা সন্তুষ্ট মনে হয়নি। উইকেট নিয়ে কথা বলতে দ্রাবিড় আজ ছুটে গিয়েছিলেন মিরপুরের কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার রুমে। সেখানে মিনিট পাঁচেক অবস্থান করেন দ্রাবিড়। রুমে কথা বলা শেষে দরজায় দাঁড়িয়েও কথা বলতে দেখা যায় দুজনকে।
কি কথা হয়েছে দুজনের তা জানার সুযোগ নেই। তবে দ্রাবিড় হাত নেড়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তা বোঝা গেছে স্পষ্ট। গামিনির কথায় সন্তুষ্ট হতে না পেরেই হয়তো কথা বলতে বলতে বেরিয়ে যান দ্রাবিড়। গামিনিও পেছন থেকে তাকে কিছু একটা বলছিলেন বলে মনে হচ্ছিল। আঁচ করা যায় ভেতরে তাদের দুজনের কথা খুব একটা জমেনি।
মিরপুরের উইকেট স্পিন সহায়ক। স্পিন বিষে নীল করে এই মিরপুরেই ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। উল্টো ফলও পেয়েছে আবার। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে স্পিন উইকেট অফার করে ম্যাচও হেরেছে। সেখানে ভারতের ব্যাটসম্যানরা স্পিনে যতটা পারদর্শী, বোলিংয়ে তেজ আরও বেশি। চট্টগ্রামেই তা প্রমাণ পাওয়া গেছে। সেজন্য ঢাকার উইকেট নিয়ে একটু ধোঁয়াশায় থাকতেই হচ্ছে।
দুপুর ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত মিরপুরে অনুশীলন করেছে ভারতীয় দল। শেষ বিকেলেও মাঠ ছাড়ার আগে দ্রাবিড়কে পাওয়া গেল ২২ গজে। উইকেট নিয়ে তার উৎকণ্ঠা যেন থামছিলই না। তবে প্রধান কোচের উইকেট নিয়ে পিচ কিউটরের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে তেমন কিছু বলতে পারলেন না বিক্রম রাঠোর, ‘আপনারা দ্রাবিড় বা পিচ কিউরেটরকে জিজ্ঞেস করতে পারেন। আমি নিশ্চিত নই তাদের মধ্যে কি কথা হয়েছে। আমরা ঠিক আছি। যে ধরণেরই উইকেটই দেয়া হয়, সব ঠিকঠাক। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো ইস্যু নেই।’
উইকেট কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বাংলাদেশের বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ডের থেকে। তবে বোলিং কম্বিনেশনের কথা বলেছেন। তাতে ধারণা করা যায়, স্পিন সহায়কই হতে যাচ্ছে মিরপুরের ২২ গজ, ‘ধারণা করে বলতে পারি তিনজন স্পিনার যারা খেলেছিল এবং তাসকিন ফিরে এসেছে, সঙ্গে খালেদ তো আছে। নির্বাচন নিয়ে কাজটা নির্বাচকদের। তবে আমি দেখতে পাচ্ছি এমন কিছুই হতে যাচ্ছে।’
চট্টগ্রামের মতো ঢাকাতেও ফলের আশায় রয়েছে ভারত। বিক্রম রাঠোর বলেছেন, ‘উইকেট যেমনই হোক আমরা খেলবো এবং জিতব। এই উইকেট, ওয়ানডেতেও দেখেছি বোলারদের সাহায্য করেছে। আমি নিশ্চিত এই ম্যাচেও ফল পাওয়া যাবে। ম্যাচটা খেলতে এবং জিততে মুখিয়ে আছি।’
Views: 1
Leave a Reply