অনলাইন ডেস্ক: খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, গত বছরের জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সরকারি গুদামে চালের মজুত ছিল ৫ লাখ ২৩ হাজার টন, যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। কিন্তু এ বছর চালের মজুত ১৭ লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে। সরকারের হাতে গম, কিছু ধানসহ মোট খাদ্য মজুত প্রায় ২০ লাখ টন। সর্বশেষ দুই মৌসুমে ধান আবাদ বড় কোনো দুর্যোগে পড়েনি, বরং উৎপাদন বেড়েছে। সরকার আমদানির সুযোগ দিয়েছে। বিশ্ববাজারেও দাম কম। তারপরও দেশে চালের দাম কমছে না।
ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বাজারদরের তালিকা অনুযায়ী, ২০১৯ সালে দেশে মোটা চালের গড় দাম ছিল কেজি ৪০ টাকারও কিছু কম। ২০২০ সালে তা বেড়ে ৪৮ টাকা ছাড়িয়ে যায়। ২০২১ সাল জুড়েই দাম চড়া ছিল।
চালের দাম নিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ও চিন্তিত। তারা এক সপ্তাহ ধরে বড় চালকল ও চাল ব্যবসায়ীর কাছে মজুতের হিসাব চাইছে। সম্প্রতি খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক সভায় আলোচনায় দাম কমানোর কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় আবারও আমদানির অনুমতি দেওয়ার হুমকি দেন। তিনি বলেছেন, আমদানির নথিপত্র তৈরি আছে।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকও স্বীকার করেন, সত্যিকার অর্থে দেশে চালের প্রকৃত উৎপাদন ও ভোগ নিয়ে তথ্যের ঘাটতি আছে। তাঁর মতে, দেশে প্রতিবছর জনসংখ্যা বাড়ছে। চাল ব্যবহারের নতুন নতুন খাত তৈরি হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষের আয় বেড়ে যাওয়ায় মাঝারি ও সরু চাল কেনা বেড়েছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী সরু চালের উৎপাদন হয়তো বাড়ছে না। এ কারণে বাজার একটু বাড়তি। তবে বোরো ধান উঠলে দাম কমে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
দর্শনানিউজ২৪/এম.এইচ
Views: 5
Leave a Reply