অওরা : চিকিত্সকদের মতে, কেবল স্বাদ বাড়াতেই নয়; কাঁচালঙ্কায় রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্যকর দিকও। তবে অতিরিক্ত ঝাল খাদ্যনালির ক্ষতি করে। পরিমাণমতো কাঁচালঙ্কায় অনেক ভালো দিক রয়েছে।
কাঁচালঙ্কা ভিটামিন সির অত্যন্ত ভালো একটি উত্স। আরও রয়েছে ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন এ, লোহা, কপার, পটাশিয়াম, অল্প পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। এ ছাড়া কাঁচালঙ্কায় রয়েছে জল ও ক্যারোটিন-বি, ক্যারোটিন-এ, লিউটেইন-জিজান্থিনের মতো ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট।
চিকিত্সকরা জানান, পাকস্থলীর ক্যানসারসহ অনেক অসুখের ওষুধ হিসেবে কাঁচালঙ্কার ব্যবহার রয়েছে। আসুন দেখে নিন কাঁচালঙ্কার গুনাগুণ।
১. হজম- ডায়েটারি ফাইবারে পরিপূর্ণ হওয়ার কারণে কাঁচালঙ্কা হজমের জন্য খুবই উপকারী। এ ছাড়া ঠাণ্ডার সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে কাঁচালঙ্কা। হঠাত্ ঠাণ্ডা সমস্যা ও সাইনাসের সমস্যা থেকে বাঁচায় কাঁচালঙ্কার থাকা ক্যারাসাসিন।
২. কোষ্ঠকাঠিন্য- কাঁচালঙ্কা শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন অপসারণ করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ হয়। ডায়েটারি ফাইবারের ভালো উত্স বলে এটি বৌল সিস্টেমের কাজ সঠিকভাবে হতে সাহায্য করে।
৩. পাকস্থলীর ক্যানসার- কাঁচালঙ্কা পাকস্থলীর ক্যানসার ও পাকস্থলীর যে কোনো রোগ নিরাময় করে। এ ছাড়া লালাগ্রন্থিকে সক্রিয় রাখতে লঙ্কা খেলে লালা উত্পন্ন হয়, যা খাবার ভালোভাবে চিবানোতে ও হজমে সাহায্য করে।
৪. তারুণ্য ধরে রাখে- যারা নিয়মিত কাঁচালঙ্কা খান তাদের ত্বক থাকে বলিরেখামুক্ত। এটি বয়স ধরে রাখতে জাদুকরি একটি উপাদান। এছাড়া মন ভালো রাখে ও মস্তিষ্কে এনডোরফিন হরমোন উদ্দীপক। ফলে মন ভালো রাখতে কাঁচালঙ্কা দারুণ ভালো।
৫. ডায়াবেটিস- লঙ্কায় থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া পাশাপাশি কাটাছেঁড়ার ক্ষেত্রে রক্তপাতও বন্ধ করে।
৬. ওজন হ্রাস করে- কাঁচালঙ্কা বাড়তি মেদ ঝরায়। বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি করে ওজন কমানোতে সাহায্য করে।
৭. ফুসফুস- প্রতিদিন কাঁচালঙ্কা খেয়ে ঠাণ্ডা, কাশি এমনকি ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব। এ ছাড়া কাঁচালঙ্কা টিস্যু পুনর্গঠন করে, নতুন রক্তকোষ তৈরি করে, হাড়কে সুস্থ ও শক্তিশালী করে।
৮. ইমিউনিটি- কাঁচালঙ্কায় অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে, যা শরীরে জীবাণু সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
দর্শনা নিউজ 24/এইচ জেড
Views: 4
Leave a Reply