ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় শত শত গাছ উপড়ে পড়েছে। সড়কের দুই পাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ইতোমধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সড়ক থেকে দুই শতাধিক গাছ অপসারণ করেছে।
এদিকে, সোমবার (২৭ মে) দুপুর তিনটায়ও ঝড়ো হাওয়া এবং হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কের উপরে ও পাশে দোকানের সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ড উড়ে গেছে। অনেক সাইনবোর্ড রাস্তার উপরে পড়ে রয়েছে। সড়কের পাশে প্রচুর গাছপালা ভেঙে পড়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমেলের প্রচণ্ড আঘাতে খুলনা নগরীর রেলগেট ফেরিঘাট সংলগ্ন ১৩০ বছরের পুরনো বটগাছটি গোড়াসহ উপড়ে পড়েছে। সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। খুলনা সিটি কর্পোরেশন এবং ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট যৌথভাবে সড়কের উপর থেকে গাছটি অপসারণে তাৎপরতা শুরু করেছে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, রোববার (২৬ মে) দিবাগত রাত আনুমানিক ২ টার দিকে ১৩০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী এ বটগাছটি গোড়া থেকে সম্পূর্ণ উপড়ে সড়কের উপর পড়ে। ফলে গতকাল রাত থেকে দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম এ সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণরুপে বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় নগর ঘাটে ফেরি চলাচল।
দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মাসুম বিল্লাহ বলেন, সকাল ৯ টার দিকে খবর পেলাম বটগাছটি সড়কের উপর উপরে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এবং ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ইতোমধ্যে তারা বটগাছটি সড়কের উপর থেকে অপসারণে কাজ শুরু করেছে।
খুলনা ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, রোববার রাত থেকে ফায়ার এবং উদ্ধারকর্মীরা শহর এবং শহরের বাইরে বিভিন্ন এলাকায় কাজ শুরু করে। সোমবারও বিভিন্ন ইউনিটে বিভক্ত হয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছি। মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ পর্যন্ত সড়কের উপর উপড়ে পড়া ২০০ টি গাছ অপসারণ করেছি। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে রেলিগেট ফেরিঘাট সংলগ্ন শতবর্ষী বটগাছটি সড়কের উপর উপড়ে পড়ার সংবাদ পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। সড়কের উপর থেকে গাছটি অপসারণের কার্যক্রম শুরু করেছি।
দৌলতপুর এবং খুলনা সদরের ৪টি ইউনিটের ৫০ জন কর্মী গাছটি অপসারণের কাজ করছে। আমাদের কর্মীরা ইলেকট্রিক করাত দিয়ে গাছের ডালগুলো অপসারণ করছে। এরপর গাছের মূল অংশ আমরা অপসারণের কাজ শুরু করবো। আশা করি ২/৩ ঘণ্টার মধ্যে গাছটি অপসারণের কাজ শেষ করে যানবাহন চলাচল উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে।
খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ আমিরুল আজাদ জানান, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর এখনো তার প্রভাব চলছে। বর্তমানে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা আবহাওয়া এমনই থাকবে।
Views: 6
Leave a Reply