চীনের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর বেইজিংয়ের গণহত্যা এবং উইঘুরদের জোরপূর্বক শ্রমদানে বাধ্য করার অভিযোগ তুলে ২৬টি চীনা তুলা রপ্তানিকারী কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। খবর রয়টার্সের।
ওয়াশিংটন বলছে, উইঘুর সংখ্যালঘুদের দিয়ে জোর করে পণ্য তৈরি করায় চীন। ওই সব পণ্য নিজেদের সরবরাহ চেইন থেকে সরাতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, চীনা কর্তৃপক্ষ জিনজিয়াং অঞ্চলে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর জন্য শ্রম শিবির স্থাপন করেছে। তবে বেইজিং বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত তুলা কোম্পানির অনেকগুলোর অবস্থান জিনজিয়াং অঞ্চলের বাইরে। তবে কোম্পানিগুলো ওই অঞ্চল থেকে মূলত তুলা সংগ্রহ করে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির সেক্রেটারি আলেজান্দ্রো মায়োরকাস বলেন, ‘নতুন এ তালিকা দায়িত্বশীল কোম্পানিগুলোকে যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করতে সহায়তা করবে। একই সঙ্গে জোরপূর্বক শ্রমের মাধ্যমে তৈরি পণ্যকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সীমাবদ্ধ করবে।’
এদিকে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস যুক্তরাষ্ট্রের এ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ চীনের জিনজিয়াং অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করবে। চীনের উন্নয়নের গতি রোধ করতে এটি মার্কিন একটি কৌশলমাত্র।
২০২১ সালে উইঘুর ফোর্সড লেবার প্রিভেনশন অ্যাক্ট এনটিটি লিস্ট পাস করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর থেকে ওয়াশিংটন এখন পর্যন্ত ৬৫টি চীনা প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানি নিষিদ্ধ করেছে।
Views: 15
Leave a Reply