আন্দ্রে রাসেল নৈপূণ্যে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৪১২ রানের ম্যাচে ৪ রানে জয় পেয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)।
ইডেন গার্ডেনে শনিবার রাতে আন্দ্রে রাসেল প্রথমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। ২৫ বলে ৩ চার ও ৭ ছক্কায় অপরাজিত ৬৪ রান করেন। তাতে ৭ উইকেটে ২০৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় কেকেআর। এরপর বল হাতে ২ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট তুলে নেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান এই অলরাউন্ডার। ফেরান অভিষেক শর্মা ও আব্দুল সামাদকে। শেষ পর্যন্ত হায়দরাবাদ ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রানের বেশি করতে পারেনি। ৪ রানের দারুণ জয়ে আইপিএলের নতুন মৌসুম শুরু হয় কলকাতার। অলরাউন্ড নৈপূণ্যে অবধারিতভাবে ম্যাচসেরা হন রাসেল।
এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭.৩ ওভারে ৫১ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে কলকাতা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন ফিল সল্ট, আন্দ্রে রাসেল, রমণদীপ সিং ও রিংকু সিং। তাদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পরবর্তী ১২.৩ ওভারে কলকাতা তোলে ১৫৭ রান। রমণদীপ ১৭ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৩৫ রান। সল্ট ৪০ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় খেলেন ৫৪ রানের মূল্যবান ইনিংস। রিংকু ১৫ বলে ৩ চারে ২৩ রানের ইনিংস খেলে দলীয় রানের চাকা সচল রাখেন। আর রাসেল ছক্কার ঝড় তুলে অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২০৮ পর্যন্ত নিয়ে যান।
বল হাতে হায়দরাবাদের থাঙ্গারাসু নটরাজন ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। মায়াঙ্ক মারকান্দে ৪ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই হয়েছিল হায়দরাবাদের। ৫.২ ওভারেই তারা তুলে ফেলে ৬০ রান। সেখান থেকে ১১১ রানে যেতে হারায় ৪ উইকেট। মায়াঙ্ক আগারওয়াল ৪ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩২ রান। অভিষেক শর্মা ৪ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৩২ রান। এরপর এইডেন মার্করাম ১৮ ও রাহুল ত্রিপাঠি ২০ রান করে আউট হন। আর দলীয় ১৪৫ রানের সময় আব্দুল সামাদ ফেরেন ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৫ রান করে।
সেখান থেকে দলীয় রান ২০৪ পর্যন্ত নিয়ে যান হেনরিক ক্লাসেন। তিনি ২৯ বলে ৮ ছক্কায় ৬৩ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে শেষ ওভারের পঞ্চম বলে আউট হন। তিনি আউট না হলে ম্যাচটি হয়তো জিতে যেত হায়দরাবাদ। শেষ দুই বলে জিততে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৪ রান। সেই রানের হিসাব অবশ্য তারা মেলাতে পারেনি।
Views: 5
Leave a Reply