ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরের নামটি টিকিয়ে রাখতে হাইমচরের চরভৈরবী থেকে মতলব উত্তরের ষাটনল পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার পদ্মা-মেঘনার নৌপথে মা ইলিশের অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে জেলা টাক্সফোর্সের ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ফলে ১ মার্চ হতে ৩০ এপ্রিল নিষেধাজ্ঞা সময়ে জেলেরা ট্রলার ও নৌকাসহ নদী ছেড়ে ডাঙায় উঠছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত থেকেই জেলে এবং মৎস্য ব্যবসায়ীরা ইলিশসহ কোনো ধরনের মাছ নদী থেকে আহরণ, মজুদ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করতে পারবেন না।
জেলা টাক্সফোর্সের তথ্য মতে, অভয়াশ্রমের সময়ে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনাসহ দেশের মোট ৬টি উপকূলীয় এলাকায় চলবে দুই মাসের এই নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম। যার জন্য জেলেদের নিয়ে সচেতনতা কার্যক্রম করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে জেলার নিবন্ধিত প্রায় ৪৩ হাজার জেলেকে ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত মোট ৪ মাস খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রতিমাসে ৪০ কেজি করে সরকারি সহায়তা হিসেবে চাল দিবে সরকার।
পুরানবাজারের রনাগোয়াল ও সদরের আনন্দবাজার এলাকার জেলেরা বলেন, আমরা নিষেধাজ্ঞা আসায় এখন নৌকা ও ট্রলার নদী ছেড়ে ডাঙায় উঠাচ্ছি। এই সময় নৌকা ও জালের মেরামত কাজ সারবো। সবাই ইলিশ সম্পদ রক্ষায় আমরা সচেতন রয়েছি। তবে আমাদের কিস্তির টাকা পরিশোধে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তারও দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, নিষেধাজ্ঞা সময়ে জেলেদের ঋণের কিস্তি বন্ধ রাখতে সকল এনজিও সংস্থাকে আমরা চিঠি দিবো। এছাড়াও জেলেদের মাঝে খাদ্য হিসেবে চাল বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আশা করছি এবার আমরা সুফল পাবো।
জেলা নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, আগামী দুই মাস দিনে-রাতে ৬টি করে ১২টি নৌপুলিশের টহল নদীতে কাজ করবে। এছাড়াও হাইমচরে একটি ভ্রাম্যমাণ নৌপুলিশ ফাঁড়ি করে টহল আরও জোরদার রাখা হবে।
চাঁদপুর জেলা টাক্সফোর্সের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, মা ইলিশের অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে জেলা টাস্কফোর্স টিম করে নদীতে সার্বক্ষণিক তৎপর থাকবে। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সকলের সচেতনতা ও আন্তরিক সহায়তা প্রত্যাশা করছি।
Views: 6
Leave a Reply