সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল নিউ জিল্যান্ড। প্রত্যাশিত শুরু হলো না তাদের। প্রথম ওভারে ফিন অ্যালেন বিদায় নেন। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ফিরে গেলেন ডেভন কনওয়েও। ষষ্ঠ ওভারে মিড অফ থেকে শাদাব খানের সরাসরি থ্রোতে রান আউট হন কিউই ওপেনার। পাওয়ার প্লের শেষ বলে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি আউট হলেন ২১ রানে, ২০ বলের ইনিংসে ছিল ৩ চার।
পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ৩৮ রান।
সতর্ক নিউ জিল্যান্ড
ইনিংসের তৃতীয় বলে ফিন অ্যালেনকে হারিয়ে সতর্ক নিউ জিল্যান্ড। ক্রিজে আছেন কেন উইলিয়ামসন ও ডেভন কনওয়ে।
দ্বিতীয় ওভারে নাসিম শাহকে দুটি চার মেরে ৮ রান তোলেন কনওয়ে। পরের দুই ওভারে শাহীন শাহ আফ্রিদি ৫ ও হারিস রউফ ৪ রান দেন।
৪ ওভার শেষে নিউ জিল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৩ রান।
অ্যালেনকে ফিরিয়ে দারুণ শুরু পাকিস্তানের
প্রথম বলে চার মেরে শুরু। দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার আঙুল তুলে ধরলেন। ফিন অ্যালেন রিভিউ নিলেন, আল্ট্রা এজে ব্যাটে বল লাগতে দেখা গেলো। রিচার্ড কেটেলবোরো অনফিল্ড আম্পায়ার মারাইস এরাসমাসকে সিদ্ধান্ত পাল্টাতে বললেন।
কিন্তু পরের বলে আবারও প্যাডে আঘাত করলো বল, এবার আর রিভিউ নিলেন না অ্যালেন। আম্পায়ারের আউটের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে মাঠ ছাড়লেন ৩ বলে ৪ রান করে। শাহীন শাহ আফ্রিদি ইনিংসের প্রথম ওভার শেষ করলেন ৬ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়ে।
পাকিস্তান ও নিউ জিল্যান্ডের অপরিবর্তিত একাদশ
প্রথম সেমিফাইনালের একাদশে কোনও পরিবর্তন আনেনি পাকিস্তান ও নিউ জিল্যান্ড। উইনিং কম্বিনেশন নিয়েই তারা মুখোমুখি হচ্ছে। এই মাঠেই প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০০ রান করে জিতেছিল নিউ জিল্যান্ড। তাই টস জিতে আবারও ব্যাটিং করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি তাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
টস শেষে উইলিয়ামসন বলেন, ‘ব্যবহৃত পিচ, ঘাস নেই। একই পিচ, কিন্তু আলাদা এবং পরিবর্তনশীল কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জন্য, এটা শুধুমাত্র এই খেলায় ও কন্ডিশনে মনোনিবেশ করাই কাজ।’
বাবর আজম বলেন, ‘টস আমাদের হাতে নেই। আমরা তাদের ওপর চাপ তৈরি করতে চাই। একই দল। ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে আমরা অনেক আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছি। কিন্তু নিউ জিল্যান্ডে ভালোমানের খেলোয়াড়রা আছে এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা খেলবো।’
নিউ জিল্যান্ড একাদশ: ফিন অ্যালেন, ডেভন কনওয়ে (উইকেটকিপার), কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), গ্লেন ফিলিপস, ড্যারিল মিচেল, জেমস নিশাম, মিচেল স্যান্টনার, টিম সাউদি, ইশ সোধি, লকি ফার্গুসন, ট্রেন্ট বোল্ট
পাকিস্তান একাদশ: মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটকিপার), বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ হারিস, শান মাসুদ, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ নওয়াজ, শাদাব খান, মোহাম্মদ ওয়াসিম, নাসিম শাহ, হারিস রউফ, শাহীন শাহ আফ্রিদি।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নিউ জিল্যান্ড
শেষ হওয়ার পথে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লড়াই। তৃতীয়বার ফাইনালে চোখ রেখে গতবারের রানার্সআপ নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে পাকিস্তান। বুধবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
প্রথম দুটি ম্যাচ হেরে পাকিস্তান ছিল খাদের কিনারায়। শেষ তিনটি ম্যাচ জিতে তারা অপ্রত্যাশিতভাবে উঠে গেছে সেমিফাইনালে। যেন ফিরে এসেছে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ স্মৃতি। ওইবার দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পর ইমরান খানের পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়ায় এবং নিউ জিল্যান্ডকে সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিতে প্রথম ৫০ ওভারের বিশ্বট্রফি জেতে।
এরপর বিশ্বমঞ্চে আরও দুইবার সেমিফাইনাল খেলে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেছে পাকিস্তান। তাই ইতিহাস বাবর আজমদের পক্ষে। তবে টানা দুটি বিশ্ব আসরে ফাইনালে ওঠা নিউ জিল্যান্ডও তাদের ট্রফি খরা কাটাতে উন্মুখ হয়ে আছে।
Views: 3
Leave a Reply