বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মিয়ানমার সীমান্তে বোমা মারছে, সরকার নীরব। তারা রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আসলে সরকারের কোমর সোজা নেই। থাকবে কী করে? তারা তো আর জনগণের ভোটে নির্বাচিত না। সেজন্য আজ বুক ফুলিয়ে মিয়ানমারের বোমাবর্ষণের প্রতিবাদও করতে পারছে না।
রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীসহ দেশব্যাপী বিএনপির চলমান কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণ ও আওয়ামী লীগের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের কাজ হচ্ছে, যারা অনির্বাচিত, জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে; জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জনগণের জন্য, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, এখনও সময় আছে আপনারা পদত্যাগ করুন। সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন। সেই সরকারের অধীনে একটি স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে, নিরপেক্ষ ভোটের মাধ্যমে জনগণ তাদের নতুন সরকার নির্বাচন করবে।
ফখরুল বলেন, আমাদের কর্মসূচি ছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে। সেখানে আমাদের নেতাকর্মীদের গায়ে হাত তোলা হচ্ছে। এরইমধ্যে তিন জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাহলে কি এই দেশের মানুষ কথা বলতে পারবে না? সরকারের এই অন্যায় দমন নীতি আর সহ্য করা হবে না।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, মির্জা আব্বাস, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপি নেতা রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, আবদুস সালাম আজাদ, মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, নবী উল্লাহ নবী, হাবিবুর রশীদ হাবিব, ইকবাল হোসেন শ্যামল, যুবদল নেতা সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, মোনায়েম মুন্না, মামুন হাসান, এসএম জাহাঙ্গীর, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, গোলাম মাওলা শাহীন প্রমুখ।
Views: 7
Leave a Reply