ক্রীড়া ডেস্ক : লিগ টেবিলে অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় রয়েছে কলকাতা নাইটরাইডার্স। এখন প্লে-অফে যেতে গেলে নিজেদের বাকি সব ম্যাচ জিততে তো হবেই, সেই সঙ্গে অন্য দলগুলির দয়াতেও থাকতে হবে। তা এ হেন পরিস্থিতিতে সোমবার বেঙ্গালুরুকে পুরোপুরি উড়িয়ে দিল কেকেআর।
টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কিছুটা নবরূপে থাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দলের হয়ে অভিষেক করেন শ্রীকর ভরত এবং শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্ডু হাসারাঙ্গা। কোহলির সঙ্গে ম্যাচে ওপেন করতে নামেন দেবদত্ত পাড়িক্কাল।
শুরুটা ভালোই করেছিল আরসিবি। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বলে চার মেরে ইনিংস শুরু করেন বিরাট। যদিও এই কৃষ্ণের বলেই আউট হয়ে যান তিনি। তবে ছন্দে ছিলেন অপর ওপেনার পাড়িক্কাল। বোলার লকি ফার্গুসনের মাথার উপর দিয়ে চার মেরে নিজের ইনিংস শুরু করেন পাড়িক্কাল। বিরাটকে হারালেও কোনো চাপে পড়তে দেখা যায়নি বেঙ্গালুরুকে।
তবে ২২ রানের বেশি নিজের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যেতে পারেননি পাড়িক্কাল। আপার কাট খেলতে গিয়ে লকি ফার্গুসনের বলে দীনেশ কার্তিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যে রাসেলের শিকার হয়ে যান ভারত। ১৬ রানের সংক্ষিপ্ত ইনিংস খেললেও তিনিও নিজের প্রতিভার নিদর্শন দেখাচ্ছিলেন।
তিন উইকেট পড়ার পর ক্রিজে একত্রিত হন এবি ডেভিলিয়ার্স এবং গেল ম্যাক্সওয়েল। যদিও দু’জনেই চূড়ান্ত ব্যর্থ। এর মধ্যে আবার ডেভিলিয়ার্স খাতাই খুলতে পারেননি। রাসেলের বলের শিকার হন তিনি। অন্যদিকে, ১০ রান করে ম্যাক্সওয়েল যখন আউট হন, তখন ৬৩ রানের মাথায় পাঁচ উইকেট হারিয়েছে আরসিবি।
এর পর একে একে উইকেট হারাতে থাকে আরসিবি। ম্যাক্সওয়েলের পর ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা এবং সচিন বেবিকে ফিরিয়ে দেন সিভি বরুণ। কিছুক্ষণের মধ্যে ড্রেসিং রুমের পথ দেখেন কাইল জেমিসনও। এই পরিস্থিতিতে আরসিবির মধ্যে আর কোনো রকম কোনো প্রতিরোধ গড়ে তোলাই সম্ভব ছিল না। একশো রানও বোর্ডে তুলতে পারল না তারা।
কলকাতা নাইটরাইডার্সের হয়ে এ দিন অভিষেক করেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। ওপেনার হিসেবে শুভমন গিলের সঙ্গী হন তিনি। প্রথম ওভারেই রান তুলে ফেলে কেকেআর। এর মধ্যেই আইয়ারই দুটো চার মেরে দেন। অত্যন্ত দ্রুতগতিতে রান তোলা শুরু করে কেকেআর।
আরসিবির বোলারদের কোনো রকম সমীহ করেননি কেকেআরের দুই ওপেনার। প্রথম পাঁচ ওভারের মধ্যেই ৪৫ করে ফেলেন তাঁরা। ষষ্ঠ ওভারে পঞ্চাশের গণ্ডিও পেরিয়ে যান দু’জনে। নিজের প্রথম আইপিএল ম্যাচ খেলতে নামলেও আইয়ারকে দেখে কখনই মনে হয়নি যে কোনো ধরনের কোনো চাপে রয়েছেন তিনি।
শুভমনও নিজের চেনা ছন্দেই ব্যাট করে যাচ্ছিলেন। একটা সময় মনেই হচ্ছিল যে কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে ফেলবে কেকেআর। কিন্তু সেটা করতে দেননি যজুবেন্দ্র চাহল। টি-২০ বিশ্বকাপে দলে নাম না থাকা চাহলই আরসিবিকে একমাত্র সাফল্য এনে দেন তিনি।
দশম ওভারের শেষ বলে জয়ের প্রয়োজনীয় রান তুলে ফেলে কেকেআর। দশ ওভার বাকি থাকার ফলে নেট রানরেটেও ব্যাপক উন্নতি করে তাঁরা।
দর্শনা নিউজ 24/এইচ জেড
Views: 6
Leave a Reply