স্টাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গা জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ মসজিদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
শুধু নামাজ আদায় নয়,মসজিদ হবে গবেষণা,ইসলামী সংস্কৃতি ও জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র। হারিয়ে যাওয়া ইসলামের চিরায়ত এই ঐতিহ্যকে ধারণ করে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে দৃষ্টিনন্দন ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার। মুজিববর্ষে ১৭০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হবে। তারই ধারাবাহীকতায় আজ উদ্বোধন হবে চুয়াডাঙ্গার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভিতর অবস্থিত নবনিরর্মিত এ মডেল মসজিদ।
চুয়াডাঙ্গার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভিতরে নির্মীতব্য মডেল মসজিদটি সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, মডেল মসজিদের নির্মাণ শেষ। চারতলা বিশিষ্ট নবনির্মীত মডেল মসজিদে একসঙ্গে ১২শ’ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মডেল মসজিদ হবে গবেষণা,ইসলামি সংস্কৃতি ও জ্ঞান চর্চা কেন্দ্র। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত সুবিশাল এই মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে নারী ও পুরুষদের পৃথক ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা,লাইব্রেরী,গবেষণা কেন্দ্র,ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র,পবিত্র কুরআন হেফজ বিভাগ,শিশু শিক্ষা,অতিথিশালা,বিদেশি পর্যটকদের আবাসন,মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা,হজ্জযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ,ইমামদের প্রশিক্ষণ,অটিজম কেন্দ্র,গণশিক্ষা কেন্দ্র,ইসলামী সংস্কৃতি কেন্দ্র থাকবে। এছাড়া ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা এবং গাড়ি পার্কিং সুবিধা রাখা হয়েছে।
মডেল মসজিদটিতে দ্বীনি দাওয়া কার্যক্রম ও ইসলামী সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি মাদক,সন্ত্রাস,যৌতুক,নারীর প্রতি সহিংসতাসহ বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধি রোধে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা ইসলামী ফাউন্ডেশেনের উপপরিচালক এবিএম রবিউল ইসলাম বলেন,মুসলিম বিশ্বের এই প্রথম কোনো দেশের সরকার প্রধান একসঙ্গে ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ করছে। এর আগে কোনো মুসলিম শাসক বা সরকার প্রধান এক সঙ্গে এতগুলো মসজিদ নির্মাণ করেননি। মডেল মসজিদগুলো শুধু নামাজ পড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এখানে ইসলামী সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি জ্ঞান অর্জন ও গবেষণা সুযোগ থাকবে, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি আরও বলেন,মানুষ যখন ইসলামের সঠিক জ্ঞান পাবে তখন কেউ আর মাদক,সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের সঙ্গে জড়িত হবে না। যৌতুক-নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ হবে,মানুষ অন্যায় থেকে দূরে থাকবে। এক্ষেত্রে মডেল মসজিদগুলোর সঠিক ব্যবহার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
তিনি আরও জানান, নবনির্মিত মসজিদের পেশ ঈমাম হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন একজন। তিনি হচ্ছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি গ্রামের শেখ মো. রবিউল হকের ছেলে মাওলানা মো. মিনারুল ইসলাম, মোয়াজ্জিম হিসাবে দায়িদ্ব পালন করবেন একজন। তিনি হচ্ছেন ঝিনাইদহ জেলার ফুলবাড়িয়া গ্রামের শরীফুল ইসলামের ছেলে মুনজুর রহমান। খাদিম হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন ২ জন।
তারা হলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেল মো. মাহমুদুল হাসান ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পশ্চিম আবদালপুর গ্রামের ইতাহার আলীর ছেলে মো. খাইরুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার আলী রেজা সজল এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স শামীম এন্টারপ্রাইজ। ১৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যায়ে চারতলা বিশিষ্ঠ এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল।
চুয়াডাঙ্গা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শম্ভু রাম পাল বলেন,সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
দর্শনা নিউজ 24/এইচ জেড
Views: 2
Leave a Reply