আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি মেলবোর্ন থেকে অকল্যান্ডগামী এক বিমানযাত্রার যে ঘটনা উঠে এল খবরের শিরোনামে, তা মদ দেওয়ার জন্য নয়, বরং না দেওয়ার জন্যই ঘটেছে!
জানা গিয়েছে যে এই বিমানে মেলবোর্ন থেকে অকল্যান্ডে যাচ্ছিলেন হানা লি পিয়েরসন নামের এক মডেল। মহিলা বিমানসেবিকার কাছে এক গ্লাস ওয়াইন চেয়েছিলেন। তখন বিমানসেবিকা জানান যে তাঁকে মদ পরিবেশন করা যাবে না। হানা যে টিকিটটা কেটেছেন, তার ভিতরে এই পরিষেবা দেওয়ার উল্লেখ নেই। তবে তিনি যদি একান্তই মদ খেতে চান, তাহলে সেটা তাঁকে টাকা দিয়ে কিনতে হবে। এই কথা শোনার পরেই খেপে ওঠেন হানা!
বিমানসেবিকা জানিয়েছেন যে হানা এর পর নিজের সিট ছেড়ে উঠে তুমুল ধস্তাধস্তি শুরু করেন। সকলের সামনেই তিনি অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগ করে এই বিমানসংস্থার কর্মীদের কটূকাটব্য করতে থাকেন। বিমানকর্মীরা তাঁকে নিজের সিট ছেড়ে উঠতে নিষেধ করলেও তিনি তা শোনেননি। এ হেন পরিস্থিতিতে হানা যখন পায়চারি করছেন বিমানের ভিতরে, তখন তাঁকে যাত্রীদের থেকে সামান্য দূরে এক ফাঁকা জায়গায় কর্মীরা আবার বোঝানোর চেষ্টা করেন। এই সময়েই হানা এক বিমানকর্মীর হাত মুচড়ে দেন, মাথা নিয়ে গুঁতো মারতে থাকেন তাঁদের। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য শেষ পর্যন্ত তাঁকে বেঁধে রাখতে বাধ্য হন বিমানকর্মীরা।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলাটি ওঠে বলেও জানা গিয়েছে। তবে আদালতে হানা নিজের এই কীর্তিকলাপের কথা অস্বীকার করেননি। অন্য দিকে, হানার আইনজীবীও জানিয়েছেন যে অ্যালকোহলিক বলে এই মডেলের রীতিমতো কুখ্যাতি আছে। এটাই প্রথম নয়, এর আগেও মদ খাওয়ার টান সামলাতে না পেরে বহু অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন তিনি। বিচারক এখনও পর্যন্ত এই মামলার রায় দেননি। তবে কানাঘুঁষোয় খবর- এই দুর্ব্যবহারের জন্য হানার বিদেশযাত্রার অনুমতি এবার সরকার থেকে বাতিল করে দেওয়া হতে পারে।
দর্শনা নিউজ 24/এইচ জেড
Views: 4
Leave a Reply