চট্টগ্রাম নগরীর কেন্দ্র থেকে বিমানবন্দরের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার। যানজটের কারণে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে এতোদিন সময় লাগতো দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। কিন্তু এখন এই দূরত্ব অতিক্রম করা যাবে মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটে। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে উদ্বোধনের মাধ্যমে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম প্রবেশ করেছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যুগে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রাম এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এক্সপ্রেসওয়ের লালখান বাজার থেকে টাইগারপাস অংশের কাজ শেষ না হওয়ায় এটি এখনই খুলে দেওয়া হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত প্রকল্পের প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক। তবে, পতেঙ্গা থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত অংশ আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সব ধরনের যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গৃহীত প্রকল্পে নগরীর লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত চট্টগ্রাম ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ১৬ দশমিট ৫ মিটার প্রশস্ত চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালে। ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও নানা জটিলতায় কাজ এগুতে না পারায় দুই দফা সময় বৃদ্ধি করে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়। ৪ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে ৯০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
এক্সপ্রেসওয়ের দুই পাশে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে ১৪টি র্যাম্প বসানোর কাজ অবশিষ্ট রেখেই আজ এই প্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছে। র্যাম্প ছাড়া উদ্বোধন হলেও চট্টগ্রাম নগরী থেকে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই চট্টগ্রাম বিমানবন্দর অথবা পতেঙ্গা পৌঁছাতে পারবে। এছাড়া, বঙ্গবন্ধু টানেলের ভেতর দিয়ে পারাপার হওয়া যানবাহন সমূহও এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে চলাচল করতে পারবে। তবে র্যাম্প চালু না হওয়ায় নগরীর টাইগারপাস থেকে যাত্রা শুরু করে পতেঙ্গার আগে শহরের অন্য কোনো প্রান্তে যানবাহন উঠা-নামা করতে পারবে না।
Views: 2
Leave a Reply