আয়ারল্যান্ড ইনিংসের দশম ওভারে সাকিব আল হাসানকে তিন চার মেরে ১৫ রান নেন দুই ওপেনার স্টিফেন ডাহনি-পল স্টার্লিং। এক ওভার পরে সাকিব আবার আসেন, আউটসাইড অফে স্কিড করা দ্বিতীয় বলে খোঁচা দিয়ে বসেন ডাহনি (৩৪)।
১২তম ওভারে সাকিবের ব্রেকথুর পর ধস নামে আয়ারল্যান্ড ইনিংসে। এরপর এবাদত হোসেন-তাসকিন আহমেদের আক্রমণে ১৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে এক প্রকার ছিটকে যায় ম্যাচ থেকে। এরপর আক্রমণে শামিল হন নাসুম আহমেদ। জোড়া উইকেটসহ আইরিশদের তিন ব্যাটসম্যানকে পাঠান সাজঘরে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ব্যাটিং বন্ধব উইকেটে স্পিনারদের জন্য সহায়তা কম এটা অনুমিতই। বাংলাদেশ তাই নামে তিন পেসার নিয়ে। স্পিনে সাকিব-নাসুম। ব্যাটিং বান্ধব এই পিচে স্পিনারদের শুরুটা ভালো না হলেও দ্রুত মানিয়ে নেন তারা। দুই স্পিনার নেন চার উইকেট। নাসুম ৮ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে ৩ ও সাকিব ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। এমন উইকেটেও দুজনে জয়ে রাখেন দারুণ অবদান।
তাইতো স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ শিষ্যদের এমন পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি, ‘হ্যা, অবশ্যই আমি খুশি ও গর্বিত। স্পিনারদের জন্য এটাই তো চ্যালেঞ্জ, তাই না? আমরা কিভাবে সব ধরনের কন্ডিশনে ভালো বোলিং করব, সেটাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। আমি খুশি ওরা যেভাবে মানিয়ে নিয়েছে, কন্ডিশন বুঝে বোলিং করেছে।’
ব্যাট হাতে ৯৩ রানের পাশাপাশি সাকিব বল হাতে এনে দেন ব্রেকথ্রু। তাকে নিয়ে হেরাথের ভাষ্য, ‘সাকিব সবসময়ই তার সেরাটা দিয়ে আসছে। সে নিজেকে প্রমাণ করেছে বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে। এখন সেই রেকর্ডটা সে ধরেও রাখছে। তাকে নিয়ে আমি খুশিই।’
এর আগে ইংল্যান্ড সিরিজে চট্টগ্রামের স্পোর্টিং উইকেটে সাফল্য পেয়েছিলেন সাকিবরা। ভারত বিশ্বকাপের আগে এসব উইকেটে স্পিনারদের সাফল্য স্বস্তি দিচ্ছে টিম ম্যানেজম্যান্টকে। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের উইকেট সিলেটের মতোই হওয়ার সম্ভবানা বেশি। আইসিসির ইভেন্টে সবার জন্য সুবিধা এমন উইকেট তথা স্পোর্টিং উইকেট দেওয়া হয়।
আইরিশদের বিপক্ষে রেকর্ড ১৮৩ রানে জয়ের পর সিলেটে বাংলাদেশ দল আজ কাটিয়েছে বিশ্রামে। তবে ইনডোরে করা তামিম ইকবালের অনুশীলনে কোচিং স্টাফরা ছিলেন। সেখানে গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় স্পিনারদের সাফল্য নিয়ে কথা বলেন হেরাথ।
যে কোনো কন্ডিশনে প্রস্তুতির কথা জানিয়ে হেরাথ বলেন, ‘হ্যা, আমরা কিন্তু জানি না আমরা কোন ধরনের কন্ডিশন পাব (বিশ্বকাপে)। আমাদের সব কিছুর জন্যই প্রস্তুত হতে হবে। উইকেট বোলারদের সাহায্য করতে পারে, ব্যাটসম্যানদেরও। সব ধরনের উইকেটের জন্যই প্রস্তুতি নিতে হবে।’
আগামীকাল দুপুর দুইটায় একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আইরিশদের মুখোমুখি হবে তামিমের দল। এই ম্যাচ জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত। শিষ্যদের নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হেরাথের ভাষ্য, ‘প্রথম ম্যাচের জয়টা আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস দেবে। এখন ওদের বিপক্ষে কিভাবে জিততে হয়, সে অভিজ্ঞতা আছে আমাদের। এটা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
Views: 2
Leave a Reply