স্টাফ রিপোর্টার : চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকায় নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত আব্দুল খালেককে (৫০) আটক করেছে পুলিশ। সর্বশেষ ১০-১২ দিন আগে নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায় অভিযুক্ত আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামবাসী অভিযুক্ত আব্দুল খালেককে বাড়িতে আটকে মারধোর করে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে উত্তেজিত জনতা তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় জীবননগর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আব্দুল খালেক বাঁকা পূর্বপাড়ার মৃত আজির বকসের ছেলে।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মা পাপিয়া খাতুন বলেন, ‘ছোট মেয়ে বাঁকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। আমার স্বামী আব্দুল খালেক দীর্ঘদিন ধরে আমার ছোট মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে যৌন হয়রানি করে আসছিল। ঘটনাটি জানার পর আমি প্রতিবাদ করলে আমার স্বামী খালেক মা-মেয়ে দুজনকেই মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আমি সব কিছু চিন্তা করে চুপ সহ্য করতে থাকি। কিন্তু আমার স্বামীর কোন পরিবর্তন হয় না।’
তিনি আরও বলেন, আমি অনেক সময় অনেক ঘটনা দেখে ফেলে কিছু বললে সে আমাকে কি করছি, কি হয়েছে বলে ধমক দিয়ে থামিয়ে দিত। ইতিপূর্বে দুদিন আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। সর্বশেষ ৭ অক্টোবর সকালে আমি মেয়েকে বাড়িতে রেখে আমার বোনের বাড়ি মহেশপুরের ঘুগরি পান্তাপাড়ায় যায়। ওইদিন রাতে সুযোগ পেয়ে আমার স্বামী আবারও মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। আমি বাড়িতে এসে ঘটনার কথা শুনে অবাক হয়ে যাই। কিন্তু ভয়ে কিছু বলতে না পেরে সুযোগ খুঁজি কবে খালেক বাড়ি থেকে অন্য কোথায় যায়। এ অবস্থায় আমার স্বামী খালেক বাড়ি থেকে কুষ্টিয়া গেলে আমি গত তিনদিন আগে বাবার বাড়ি মিনহাজপুর গিয়ে ঘটনার কথা বললে লোকজন আমার স্বামীকে বাড়িতে আটকে মারপিট করে।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রী জানায়, তার বাবা এ পর্যন্ত তাকে তিনদিন ধর্ষণ করেছে। তার বাবা তাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করে আসছিল। ঘটনার কথা বললে দা দেখিয়ে কেটে ফেলবে বলে হুমকি দেওয়ায় আমি কাউকে কিছু বলিনি। তবে চাচাতো ভাবী ও মায়ের সাথে বলেছি।
বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার খায়রুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি যদি সত্যিই হয়, তবে নরপিশাচের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোর্তুজা বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। যা শুনেছি তাতে সত্যি বলেই মনে হয়েছে। মেয়েটি সহজ-সরল প্রকৃতির হওয়ার সুযোগে নরপিশাচ এই জঘন্য ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন, আব্দুল খালেককে গ্রামবাসি আটকে রাখার কথা শুনে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়েছে। তবে ঘটনাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় উভয়পক্ষের নিকট বিস্তারিত জেনে শুনে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজশাহীর সময় /এএইচ
Views: 5
Leave a Reply