অনলাইন ডেস্ক : জামালপুর সদর উপজেলার মল্লিকপুরে মুক্তি আক্তার নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৫ জুলাই) সকালে বাড়ির পাশে মক্তব ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পরিবারের দাবি, প্রেমিক মিরাজ হত্যার পর তার লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তরে জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের মিজানুর রহমান দুলু ৪ মেয়ে রেখে ৭ বছর আগে সৌদি আরবে যান। তার দ্বিতীয় মেয়ে মুক্তি আক্তার চান্দের হাওড়া আলিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। এক বছর ধরে চরহরিপুর গ্রামের প্রবাসী মিরাজের ছেলে সহপাঠী রিপনের সঙ্গে তার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। ৬ মাস আগে রিপনের সঙ্গে পালিয়ে তাদের বাড়িতে ওঠে। রিপনের পরিবার মেনে না নেওয়ায় মুক্তি আক্তার বাড়িতে চলে আসে। এরপর থেকে রিপনের সঙ্গে গোপনে দেখা সাক্ষাত শুরু হয়।
গতকালরোববার রাত ৯টার দিকে প্রকৃতির ডাকে বাইরে বেরিয়ে ঘরে না ফিরলে তাকে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। সোমবার সকালে এলাকার ছেলে মেয়েরা খেলতে গিয়ে মক্তবে তার লাশ দেখে কান্নাকাটি করে। পরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তার লাশ উদ্ধার করে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত মুক্তির মা পারভিন আক্তার বলেন, আমার মেয়েকে রিপন হত্যা করেছে। ওর অত্যাচারে আমার মেয়েকে এক বছর ধরে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। সে মোবাইলে আমার মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতো। গতকাল রোববার রাতেও মোবাইলে মেসেজ দিয়েছে। সেটা আমি দেখে ফেলি। আমার মেয়ে প্রকৃতি ডাকের কথা বলে রাত ৯টায় ঘর থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। সারারাত খোঁজাখুঁজি করে পায়নি। আমি রিপনের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
জামালপুর সদর থানা উপ-পরির্দশক আলমগীর মুনছুর বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মক্তব ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থা লাশ উদ্ধার করেছি। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দেওয়া হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দর্শনা নিউজ 24/এইচ জেড
Views: 3
Leave a Reply